জীবননগর বেনীপুরে সেনাবাহিনীর দারোগা পরিচয় দিয়ে একজন আটক : পুলিশে সোপর্দ

 

জীবননগর অফিস: জীবননগর উপজেলার বেনীপুর গ্রামে কথিত বন্ধুর বাড়িতে সেনা সদস্য বেড়াতে এসে নিজেকে দারোগা পরিচয় দিয়ে পড়েছে গ্যাঁড়াকলে। অবশেষে জনতার হাতে আটকের একপর্যায়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত যশোর সেনাবাহিনীর একটি টিম জীবননগর থানায় অবস্থান করছিলেন বলে পুলিশ সূত্র জানিয়েছেন।

এলাকাবাসী সূত্র জানায়, জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের বেনীপুর গ্রামের এক কথিত বন্ধু মকলেচুর রহমানের বাড়িতে বেড়াতে যান সেনা সদস্য নাসিম উদ্দিন নাসিম (২৫)। নাসিম মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার দরিয়ারপুরের সোনাপুর গ্রামের সাখাওয়াত হোসেনের ছেলে। নাসিম গত চারদিন আগে বেনীপুর গ্রামে তার বন্ধু মকলেচের বাড়িতে আসে এবং নিজেকে পুলিশের একজন দারোগা পরিচয় দেয়। কয়েকদিনের ব্যবধানে তার সাথে বেনীপুর গ্রামের বেশ কিছু শিক্ষিত যুবকের সাথে সখ্যতা গড়ে ওঠে এবং তাদেরকে পুলিশ বাহিনীতে চাকরি দেয়ারও প্রলোভন দিতে থাকে। কিন্তু তার চাকরি দেয়ার ব্যাপারটি নিয়ে কয়েজন যুবকের মধ্যে সন্দেহ সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে গতকাল বিকালে সোহলে নামের এক যুবক সেনা সদস্য নাসিমের সাথে অসদাচরণ করে এমন অভিযোগে নাসিম তাকে একটি চড় মারলে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে এলাকার উত্তেজিত জনতা সেনা সদস্য নাসিমকে বেনীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আটকিয়ে রাখেন এবং পুলিশে সোপর্দ করেন।

বেনীপুর গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা আলী হোসেন বলেন, নাসিমকে গ্রামের মকলেচের সাথে গত কয়েকদিন ধরে দেখা যাচ্ছে। লোকমুখে জানা যায় সে মকলেচের বন্ধু। নাসিমকে এলাকার বেশ কিছু যুবকের সাথে ঘোরাফিরা করতে দেখা যায়। আমরা শুনেছি সে পুলিশের দারগা পদে চাকুরি করেন। সে এলাকার শিক্ষিত বেকার বেশ কিছু যুবককে চাকুরি দেয়ার প্রলোভন দিয়ে আসছিল। এ অবস্থায় গতকাল বিকালে সোহেল নামের এক যুবক সেনা কথিত দারগা নাসিমের সাথে খারাপ আচরণ করেছে এমন অভিযোগ তুলে সোহেলকে সে একটি থাপ্পড় মারলে শুরু হয় উত্তেজনা। এক পর্যায়ে সে ভুয়া দারগা প্রমাণিত হওয়ায় তাকে উত্তেজিত জনতা আটকিয়ে প্রাইমারী স্কুল মাঠে নিয়ে যায়। সেখানে নিজেকে দারোগা পরিচয় দেয়। সন্ধ্যার কিছু আগে জীবননগর থানা থেকে পুলিশ আসে এবং তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যান। পরবর্তীতে জানতে পারি নাসিম এলে পুলিশের কোনো দারোগা নয় সে নাকি সেনাবাহিনীতে চাকরি করেন এবং যশোর সেনাবাহিনী থেকে তাকে নেয়ার জন্য থানায় আসছেন।

এ ব্যাপারে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ এনামুল হকের সাথে মোবাইলফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে ফোনটি রিসিভ না হওয়ায় ঘটনার ব্যাপারে তার মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।