বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার সদর হিজলগাড়িতে স্কুলছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের (ইভটিজিং) দায়ে প্রাইভেট শিক্ষক ওসমান গনিকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওসমান গনি শুধু প্রাইভেট শিক্ষকই না তিনি নিজেকে কাজি বলেও দাবি করেন।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের বড়সলুয়া গ্রামের মৃত শুকুর কাজীর ছেলে প্রাইভেট শিক্ষক ওসমান গতকাল বুধবার সকাল ১০টার দিকে তারই স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করতে হিজলগাড়ি বাজার এলাকায় যান। এ সময় ওই স্কুলছাত্রীর আত্মীয়স্বজন ওসমানকে আটক করে হিজলগাড়ি ক্যাম্প পুলিশের হাতে তুলে দেন। গতকাল বুধবার দুপুর ১টার দিকে হিজলগাড়ি বাজারেই ভ্রাম্যমাণ আদালতের সামনে হাজির করা হয় অভিযুক্ত ওসমানকে। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত যৌনহয়রানির (ইভটিজিং) অভিযোগে ওসমান গনিকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) পুলোক কুমার মণ্ডল। উপস্থিত ছিলেন- চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এসআই মাসুদ পারভেজ, হিজলগাড়ি ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ এএসআই শফিকুর রহমান, সদর উপজেলা ভূমি অফিসের প্রধান সহকারী জাহিদুল ইসলাম ও অফিস সহায়ক আব্দুর রাজ্জাক। ভ্রাম্যমাণ আদালতের সামনে শুনানিকালে ওসমান নিজেকে একজন পৈত্রিক সূত্রে কাজি বলে দাবি করেন। তিনি নিজে ৪শর অধিক বিয়ে পড়িয়েছেন বলে স্বীকারোক্তি দেন। স্কুলছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করে জানানো হয়- বেশ কিছুদিন থেকে ওসমান ওই স্কুলছাত্রীকে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছে। ২০ দিন আগে ওসমান হিজলগাড়ি ক্যাম্পে মুচলেকা দিয়ে বাড়ি ফিরেছে।