স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় তিন যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে জেলা শহরের কবরীরোডে এ হামলার ঘটনা ঘটে। রক্তাক্ত জখম তিনজনকেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
আহতরা হলো- চুয়াডাঙ্গা আরামপাড়ার ই¯্রাফিল হোসেনর ছেলে ইমরান (১৭), বড় মসজিদপাড়ার আসলাম আলীর ছেলে রাসেল (২২) ও মাঝেরপাড়ার আজমের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা রিগ্যান (২২)। রিগান ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। রিগ্যান ও ইমরানের অবস্থা আশঙ্কাজনক। রিগ্যানের বুকে ধারালো অস্ত্রের কপে ফুঁসফুঁসও ফুটো হয়ে গেছে। ইমরানের পিঠে ভয়াবহ ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে। রাসেল মাথা ও ঘাড়ে রক্তাক্ত জখম হয়েছে।
আহতদের মধ্যে ইমরান ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছে, ঈদগামোড়ের অদূরের একটি মোটরসাইকেলে মেরামতের দোকানে বসেছিলাম। হঠাত করেই আমার ওপর কয়েকজন হামলা চালায়। আমি কবরি রোডের দিকে ছুটে যাই। পিছু ধাওয়া করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে পিঠে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। এর আগেই কবরী রোডেই হামলা চােিয় রাসেল ও রিগ্যানকে রক্তাক্ত জখম করে। হামলাকারীদের এলাকারই অপরপক্ষ বলে মন্তব্য করে প্রত্যক্ষদর্শীদের একজন নাম প্রকাশ না করার শর্র্তে বলেছেন, বিকেলে টাউন ফুটবলমাঠের নিকট ইসলামপাড়ার মুকুল বিশ্বাসের ছেলে রাসেলকে হাতুড়িপেটা করে একপক্ষ। তারই পাল্টা হামলা হিসেবে সন্ধ্যার পর ওদের ওপর নৃশংস হামলা চালানো হয়ে থাকতে পারে।
স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাদের কয়েকজনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেছেন, রিগ্যান স্থানীয় ছাত্রলীগের কেউ না। ঢাকায় থাকে। তাছাড়া হাসপাতালপাড়ার তানিমের সাথে গুলশানপড়ার রিমনের বিরোধের জের ধরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে গুঞ্জন রয়েছে। হামলার ঘটনার সাথে স্থানীয় ছাত্রলীগের সম্পৃক্ততা নেই।