চরমপন্থি পরিচয়ে ব্যাপকহারে চাঁদাবাজির এক পর্যায়ে অস্ত্রসহ গ্রেফতার : স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে রায়
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর এলাকার চিহ্নিত অস্ত্রধারী চাঁদাবাজ কথিত চরমপন্থি জুয়েল রানা ওরফে সুজাউদ্দীন, ওরফে সুজন ওরফে অজয় রায় ওরফে অজয় বাবুর যাবজ্জীবন (আমৃত্যু) কারাদ-াদেশ দেয়া হয়েছে। চুয়াডাঙ্গার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩’র বিজ্ঞ বিচারক মো. রোকনুজ্জামান গতকাল মঙ্গলবার আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় প্রদান করেন।
দ-িত আসামি জুয়েল রানা ওরফে অজয় বাবু চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার দলকালক্ষ্মীপুর স্কুলপাড়ার ই¯্রাইল হোসেন ম-লের ছেলে। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। গ্রেফতারের দিন থেকে তার সাজা শুরু হবে। আসামি আগ্নেয়াস্ত্রসহ ধরা পড়লেও পরবর্তীতে জামিনে মুক্ত হওয়ার পর আত্মগোপন করে। সেই থেকেই সে পলাতক রয়েছে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দলকালক্ষ্মীপুর স্কুলপাড়ার জুয়েল রানা ওরফে সুজাউদ্দীন, ওরফে সুজন ওরফে অজায় বাবু নিজেকে পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টির খুলনা বিভাগীয় নেতা বলে পরিচয় দিয়ে এলাকায় ব্যাপকহারে চাঁদাবাজি শুরু করে। খুনের হুমকি ধামকি দিয়ে চাঁদা
বাজির এক পর্যায়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের একটি দল ২০০৯ সালের ৭ নভেম্বর আলুকদিয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার নিকট থেকে উদ্ধার করা হয় একটি শাটার গান ও দু রাউন্ড গুলি। অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন সদর থানার তৎকালীন এসআই ইলিয়াস হোসেন। মামলার তদন্তভার নেন থানার তৎকালীন এসঅই সেকেন্দার আলী। তিনি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র পেশ করেন। চুয়াডাঙ্গার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩ এ শুরু হয় বিচার। এছাড়াও আসামির বিরুদ্ধে দামুড়হুদা থানাসহ বিভিন্ন থানায় চাঁদাবাজি মামলা রুজু হয়। উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে আসামি আত্মগোপন করে।
ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক মামলার ৬ জন সাক্ষীর স্বাক্ষ্যগ্রহণ করেন। আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামিকে আমৃত্যু (যাবজ্জীবন) করাদ-াদেশ দেন।