ভারতে মাওবাদী হামলায় ২৪ জওয়ান নিহত
মাথাভাঙ্গা মনিটর: ভারতের ছত্তিশগড় রাজ্যের সুকমায় মাওবাদী কমিউনিস্টদের গুলিতে পুলিশের বিশেষ বাহিনী সিআরপিএফ’র ২৪ জওয়ান নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরও ছয়জন গুরুতর আহত এবং ছয়জন নিখোঁজ রয়েছেন। আহতদের হেলিকপ্টারে করে রায়পুর এবং জগদলপুরের হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা সংকটাপন্ন। গত সোমবার দুপুরে ১টার দিকে সুকমার চিন্তাগুফার এলাকায় সিআরপিএফ’র ৭৪ নম্বর ব্যাটালিয়নের ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলা ২৪ জন নিহত হয়েছেন বলে ছত্তিশগড় পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আরকে ভিজের বরাতে জানিয়েছে দ্য হিন্দু। পত্রিকাটি জানায়, সুকমার বুরাকপাল সিআরপিএফ শিবিরের কাছে দর্নাপাল জাগারগুন্ডা সড়কের নির্মাণকাজ চলার সময় এ হামলার ঘটনা ঘটে। নিহত ১২ সিআরপিএফ জওয়ানের সাথে থাকা অস্ত্র এবং গুলি লুট করে নিয়ে গেছে মাওবাদীরা। রায়পুরে চিকিৎসার জন্য নেয়া একজন জওয়ান দাবি করেছেন, হামলার সময় তিনশ মাওবাদী যোদ্ধা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। হামলাকারীদেরও ১২ জন নিহত হয়েছে।
গো-রক্ষকদের নৃশংসতা : রেহাই পায়নি বৃদ্ধ ও শিশুরা
মাথাভাঙ্গা মনিটর: ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরে সাথে গরু থাকায় একটি যাযাবর পরিবারের সদস্যদের ওপর নির্মম হামলা চালিয়েছে গো-রক্ষক কমিটির লোকজন। হামলাকারীদের কাছে পরিবারটির সদস্যরা হাতজোড় করে মাফ চাইলেও বৃদ্ধ থেকে শুরু করে নয় বছরের বালিকাকেও রড দিয়ে বেধড়ক পিটিয়েছে হামলাকারীরা। মারধরের পর থেকে দশ বছরের একটি ছেলে নিখোঁজ রয়েছে। তাকে মেরে ফেলা হয়েছে বলে আশঙ্কা আক্রান্ত পরিবারটির। এ ঘটনায় ১১ জনকে আটক করা হলেও নির্যাতিত পরিবারটির দশ সদস্যের বিরুদ্ধে গরু পাচার করার মামলা করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার রাতে জম্মুর রিয়াসি জেলার তালওয়ারা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। গতকাল ভারতের এক সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, ঘটনার সময় যাযাবর পরিবারটির সাথে ১৬টি গরু ছাড়াও কিছু ছাগল ও ভেড়া ছিলো। উগ্র গো-রক্ষকরা রাস্তা আটকে পরিবারটির ওপর হামলা চালায়।
বাংলাদেশে গরু পাচার ঠেকাতে ভারতে গরুর জাতীয় পরিচয়পত্রের প্রস্তাব
মাথাভাঙ্গা মনিটর: ভারত থেকে বাংলাদেশে গরু পাচার ঠেকাতে নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্রের মতো (আধার কার্ড) গরুকেও পরিচয়পত্র দেয়ার প্রস্তাব সুপ্রিমকোর্টে দিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। সোমবার বাংলাদেশে গরু পাচার ঠেকাতে অখিল ভারত কৃষি গো সেবা সংঘর এক আবেদনের শুনানির সময় কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রস্তাব করে। আধার কার্ড হচ্ছে ১২ ডিজিটের অদ্বিতীয় নাম্বার যার মধ্যে নাগরিকের বায়োমেট্রিক ও জনমিতিক তথ্য লিপিবদ্ধ থাকে। অনেকটা বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্রের মতো। ভারতজুড়ে গোরক্ষকদের তাণ্ডবের মধ্যেই এই প্রস্তাবের কথা জানালো কেন্দ্রীয় সরকার। অখিল ভারত গো সেবা সংঘ সুপ্রিমকোর্টে দায়ের করা এক পিটিশনে বলে, বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে ব্যাপকভাবে গরু পাচার হচ্ছে যার ফলে ভারতে গরুর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এই বিষয়ে শুনানির সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কমিটি প্রস্তাব করে, নাগরিকদের মতো গরুরও একটি অদ্বিতীয় আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার প্রদান করা উচিত। প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়, গরুর পরিচয়পত্রে বয়স, জাত, লিঙ্গ, উচ্চতা, বর্ণ, শিং, লেজ ও বিশেষ চিহ্নর বর্ণনা থাকবে। ভারতজুড়ে গরুর পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করা হয়।