বাজারগোপালপুর প্রতিনিধি: ছাত্রীর সাথে প্রেম করে মিথ্যা বিয়ের আশ্বাস দিয়ে অবৈধভাবে মেলামেশা করে আসছিলেন প্রাইভেট শিক্ষক সোহেল রানা। অবশেষে আপত্তিকর অবস্থায় ছাত্রীর বাড়িতে ধরা পড়ে বিয়ে না করার জন্য কৌশলে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে আত্মগোপন করেও শেষ রক্ষা হলো না ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কামতা গ্রামের প্রাইভেট শিক্ষক সোহেল রানার। বিয়ের দাবিতে ছাত্রীর অনড় অবস্থান। দফায় দফায় সালিস বৈঠকের পর অবশেষে শিক্ষকের বাড়িতে ছাত্রী বিয়ের দাবিতে অবস্থানের পর বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বিয়ে করতে রাজি হলেন প্রাইভেট শিক্ষক সোহেল রানা। বিয়ের বিষয়টি সোহেল রানার পিতা নিশ্চিত করেছেন। বিষয়টি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
গ্রামবাসী জানায়, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মধুহাটি ইউনিয়নের কামতা গ্রামের সাবেক মেম্বার হায়দার খায়েরের অনার্স পড়ুয়া ছেলে সোহেল রানা একই গ্রামের প্রবাসী মজিবর রহমানের কোটচাঁদপুর তালসার কলেজপড়ুয়া মেয়ে রেহেনা খাতুনকে প্রাইভেট পড়াতেন। একপর্যায়ে বছরখানেক ধরে দুজনে গোপনে প্রেম করে আসছিলো। মিথ্যা বিয়ের আশ্বাস দিয়ে প্রাইভেট শিক্ষক সোহেল রানা ওই ছাত্রীর সাথে অবৈধভাবে মেলামেশা করে আসছিলেন। বিষয়টি জানাজানি হলে প্রথমে অস্বীকার করেন সোহেল রানা। অবশেষে মঙ্গলবার রাতে ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়ে বিয়ে না করার জন্য কৌশলে পালিয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। কলেজছাত্রী বিয়ের দাবি তুললে নানা তালবাহানা শুরু করে সোহেল রানা। শুরু হয় দফায় দফায় সালিস বৈঠক। বিয়ের দাবিতে ছাত্রীর অনড় অবস্থনের পর প্রাইভেট শিক্ষক সোহেল রানার বাড়িতে অবস্থান নেয় কলেজছাত্রী রেহেনা খাতুন। অশেষে গতপরশু রাতে সোহেল রানা বাড়িতে উপস্থিত হয়ে ওই ছাত্রীকে বিয়ে করতে রাজি হন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত সোহেল রানার সাথে একাধিকবার যোগযোগ করেও তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তার মোবাইলফোনটিও বন্ধ পাওয়া গেছে।