ঝিনাইদহের পোড়াহাটি গ্রামে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান: কেউ ধরা না পাড়লেও উদ্ধার হযেছে বিস্ফোরক

স্টাফ রিপোর্টার: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটি গ্রামের জঙ্গি আস্তানায় কোনো জঙ্গি পাওয়া যায়নি। তবে সেখান থেকে প্রচুর বিস্ফোরক, গ্রেনেড ও সুইসাইড ভেস্ট উদ্ধার করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের উপকমিশনার প্রলয় কুমার জোয়ার্দার সাংবাদিকদের বলেন, ঝিনাইদহের সদর উপজেলার পোড়াহাটি গ্রামের ওই বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গি কার্যক্রম ছিলো। বাড়িটি আমাদের নজরে ছিলো। তিনি বলেন, শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে জেলা পুলিশের সহায়তায় পোড়াহাটি গ্রামের কয়েকটি বাড়ি ঘিরে রাখা হয়। পরে সেখানে অভিযান চালিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে বাড়িটির ভেতর বোমা তৈরির সরঞ্জামসহ প্রচুর বিস্ফোরক পাওয়া গেছে।

প্রলয় কুমার জোয়ার্দার আরও বলেন, বাড়িটি তল্লাশি করে একটি নাইন এমএম পিস্তল, তিনটি সুইসাইড ভেস্ট, প্রেসার কুকার বোমা, ২০ কন্টেইনার রাসায়নিক এবং প্রচুর পরিমাণ আইইডি ও ডেটোনেটর পাওয়া গেছে। এর আগে গতকাল শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটি গ্রামের ঠনঠনে পাড়ার একটি বাড়ি ঘিরে ফেলেন পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এর আগে সন্ধ্যায় ঝিনাইদহ পুলিশকে সাথে নিয়ে ওই বাড়ি ঘিরে ফেলার তথ্য জানান পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের উপকমিশনার মহিবুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, আমাদের কাছে তথ্য ছিলো ওখানে জঙ্গিরা আছে। সে অনুযায়ী আমাদের সদস্যরা সেখানে যায় এবং সন্ধ্যায় আমরা ওই বাসা ঘিরে ফেলি। তিনি বলেন, আমরা অনেকটাই নিশ্চিত যে এখন ওই বাসায় কেউ নেই। তবে সেখনে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক আছে বলে ধারণা করছি। রাত পৌনে ৯টার দিকে পুলিশের পক্ষ থেকে বাড়ি ঘিরে জড়ো হওয়া উৎসুক জনতাসহ সবাইকে নিরাপদ দূরত্বে সরে যেতে বলা হয়। আজ শনিবার সকালে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযানের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও হ্যান্ডমাইকে ঘোষণা করা হয়।

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, পুলিশের পাশাপাশি পোড়াহাটি গ্রামের মোড়ে মোড়ে সোয়াট, র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নেন। তবে বিস্ফোরক উদ্ধারের খবরের বিষয়ে স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তারা কোনো কথা বলেননি। ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ সাংবাদিকদের জানান, পুলিশ র‌্যাব ও সোয়াট টিমের সদস্যরা বাড়িটি ঘেরাও করেন। তিনি এর বেশি কিছু বলতে রাজি হননি। জানা গেছে, পোড়াহাটি গ্রামের যে বাড়িটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘিরে রেখেছে সেটি হলো আব্দুল্লাহ ওরফে রেড়ে নামে এক নওমুসলিমের। তিনি ধানহাড়িয়া চুয়াডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল লতিফের জামাই।

পোড়াহাটি ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হিরন জানান, ঠনঠনে পাড়ার ওই বাড়িটি আবদুল্লাহ নামের এক ধর্মান্তরিত মুসলমানের। তিনি কিছুদিন আগে ধর্মান্তরিত হয়েছেন। বেশ কিছু দিন আবদুল্লাহকে এলাকায় দেখা যায়নি।