আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গা উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে সমালোচনা করে লেখা গল্পকার পিন্টু রহমানের ফেসবুকের একটি স্ট্যাটাস নিয়ে শহরে সমালোচনার ঝড় তুলেছে। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মী হিসেবে নিজ শহরেও বেশ পরিচিত পিন্টু রহমান। আলমডাঙ্গায় ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী সিনথিয়া আন্তঃপ্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় সংগীতে সারা দেশে ১ম স্থান অধিকার করে। ইতঃপূর্বে সিনথিয়া উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েও ১ম স্থান অধিকার করে। পিন্টু রহমান মনে করেন উপজেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হলে জেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে প্রতিযোগিতার আয়োজক উপজেলা শিক্ষা অফিস কম-বেশি আর্থিক সহযোগিতা করে থাকে। বিভাগীয় প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে যাওয়ার সময় জেলা শিক্ষা অফিসও আর্থিক সহযোগিতা করে থাকে। সিনথিয়া জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় ১ম হয়ে মন্ত্রীর হাত থেকে সম্মাননা নিয়ে ঘরে ফিরলেও শিক্ষা অফিস থেকে কোনো আর্থিক সহযোগিতা করা হয়নি। এ নিয়ে গত ১০ এপ্রিল পিন্টু রহমান নাম উল্লেখ না করে এক শিক্ষা অফিসারের সমালোচনা করে তার নিজের ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। সেই স্ট্যাটাসকে আপত্তিকর আখ্যায়িত করে আলমডাঙ্গা উপজেলা শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী হাসান আলী নিজেও আপত্তিকর কমেন্টস করেন। বিষয়টি নিয়ে মোবাইলফোনে তাদের দুজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে সহকারী শিক্ষা অফিসার নূর ইসলাম দুজনকে হাত মিলিয়ে দন। বিষয়টি মিটে গেলেও পরে উপজেলা শিক্ষা অফিসার আকবার আলী পিন্টু রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সরকারি দফতরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের সিংহভাগই মিথ্যা বলে পিন্টু রহমান দাবি করেন।