বাংলা নববর্ষ : সেকাল থেকে একালে—-ডক্টর. এমএ রশীদ

 

‘সব অশুভঅকল্যাণ-অপশক্তিঅপসংস্কৃতি চলে যাক বহুদূর—

বাংলা নববষের্র শুভকল্যাণমঙ্গলবারতায় জীবন হয়ে উঠকু সুমধুর’

মানুষের জীবনাচরণের সাথে অঙ্গীভূত সকল কিছুই সংস্কৃতির উপাদান। বাঙালি এবং বাংলাদেশের সংস্কৃতি হাজারো ভাঙা-গড়ার ইতিহাস এবং জীবনাচরণের সাথে সম্পৃক্ত। প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে বিবর্তিত হতে হতে বাংলাদেশের সংস্কৃতি আজকের পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। বাঙালি বা বাংলাদেশি সংস্কৃতি কোনো অখ- অথবা অভিন্ন সংস্কৃতি নয়। এ সমাজ যেমন বহু ভাগে বিভক্ত, এ সংস্কৃতিও তেমনি বহু রঙে রাঙানো। রাজনৈতিক, ধর্মীয়, বিত্ত-বৈভব, রীতি-নীতি, গ্রাম-শহর, পোশাক-পরিচ্ছদ, খাদ্যাভ্যাস, শ্রেণি অবস্থান প্রভৃতির দিক থেকে বাঙালি সংস্কৃতিকে পৃথক করা গেলেও এগুলোর মিথস্ক্রিয়ায়-ই সৃষ্টি হয়েছে এদেশের সংস্কৃতি। বাঙালি সংস্কৃতিতে যে সব অভিন্ন উপাদান আছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য এবং গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বাংলা নববর্ষ। পরস্পরের মঙ্গল ও শুভ কামনা করে ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক শুভেচ্ছা কার্ড-উপহার পাঠানো বাংলা নববর্ষের সাংস্কৃতিক তাৎপর্যের একটি আধুনিক দিক।

বাংলাদেশ এবং বাঙালির জীবনে নানারকম উৎসব অনুষ্ঠান আছে। বারো মাসে তেরো পার্বণ, দুটি ঈদ, বড় দিন, মাঘী পূর্ণিমা, বৌদ্ধ পূর্ণিমা আদিবাসীদের বিভিন্ন উৎসব আমাদের দেশের যেন উৎসবেরই রঙ ছড়িয়ে দেয়। আমরা ধর্মীয় বিবেচনায় হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান বিভিন্ন বর্ণে বিভক্ত কিন্তু আমরা সবাই জাতিতে বাঙালি- আর আমাদের বাঙালির প্রাণের উৎসব ‘বাংলা নববর্ষ’। কল্যাণ ও নতুন জীবনের প্রতীক হলো নববর্ষ। অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উদযাপিত হয় বাংলা নববর্ষ। বাংলা নববর্ষ কোনো ধর্মীয় উৎসব নয়- এটি আজ আমাদের দেশে অসাম্প্রদায়িক জাতীয় উৎসব; আবার আমাদের জাতীয় উৎসবে দেশি-বিদেশি অসংখ্য পর্যটক এসে এ উৎসবকে আন্তর্জাতিক উৎসবেরও রঙ ছড়িয়েছে। প্রত্যেক জাতির সাংস্কৃতিক জীবনে নানা ধরনের উৎসব পালিত হয়ে থাকে। জন্মদিন-বিয়ে উপলক্ষে যে-সব অনুষ্ঠান হয়ে থাকে তা মূলত পারিবারিক এবং ব্যক্তিগত। আবার ঈদ, পূজা কেন্দ্র করে যেসব অনুষ্ঠান হয়ে থাকে তা মূলত ধর্মকেন্দ্রিক। আবার এসবের গণ্ডি অতিক্রম করে অনেক অনুষ্ঠান হয়ে থাকে তেমিন নববর্ষ একটি- এটি একটি সার্বজনীন উৎসব। বাঙালির সাংস্কৃতিক জীবনে নববর্ষের তাৎপর্য ও গুরুত্ব অত্যধিক। তা ধর্ম বা সম্প্রদায়-নির্ভর কোনো অনুষ্ঠান নয়- তা সব ধর্ম-শ্রেণি-পেশার মানুষের- বাঙালির জাতীয় উৎসব। তাইতো মন বলে ওঠে ‘বাংলা নববর্ষ বা পহেলা বৈশাখ সে তো আমাদের উৎসবের রাজকন্যা,/তারই জন্য বাংলার ঘরে ঘরে বয়ে যায় উৎসবের বন্যা।’

নববর্ষ অনুষ্ঠানের প্রাচীন ধারার দিকে অনুসন্ধানী দৃষ্টি নিক্ষেপ করলে যে জিনিসটি চোখে পড়ে তা হলো এক সময় নববর্ষ পালিত হতো আর্তব উৎসব বা ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে। তখন এর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিলো কৃষির বা ফসলের সাথে। আজকাল বৈশাখ মাসে নববর্ষের সূচনা ধরা হলেও প্রাচীনকালে এদেশে নববর্ষ শুরু হতো অগ্রহায়ণ মাসে। ‘অগ্রহায়ণ’ নামটির অর্থের মধ্যেই বছরের প্রথম মাসের ইঙ্গিত রয়েছে। ‘হায়ণ’ এর একটি অর্থ হলো বছর। এদিক থেকে অগ্রহায়ণ অর্থ হলো বছরের প্রথম। ‘হায়ণ’ শব্দটি শস্য বা ধান অর্থেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আর ‘অগ্র’ শব্দটি ‘সেরা’ বা ‘প্রথম’ অর্থেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এই অগ্রহায়ণ মাসের নাম এসেছে ‘অগ্রহায়ণী’ নক্ষত্রের নাম থেকে। প্রচলিত ধারণা ছিলো যে, ‘অগ্রহায়ণী’ নক্ষত্রের উদয়ে ধান পাকে। তবে, এটা স্পষ্ট যে বাঙালির জীবনে নববর্ষ এবং তাকে উপলক্ষ্য করে উৎসবের সূচনা হয়েছে ফসল উৎপাদনের সূত্রে। আর প্রথমে সে উৎসব পালিত হতো অগ্রহায়ণে, বর্তমানের মতো বৈশাখে নয়। এ প্রসঙ্গে এটাও উল্লেখ্য যে, ‘যোগেশচন্দ্র রায় বিদ্যানিধি তার ‘পূজাপার্বণ’ গ্রন্থে জানিয়েছেন, প্রাচীনকালে এক সময় ফাল্গুনী পূর্ণিমা তিথিতে নববর্ষের উৎসব অনুষ্ঠান হতো।’ বাংলাদেশের জাতীয় জ্ঞানকোষ ‘বাংলা পিডিয়া’-এর তথ্যানুসারে কৃষিকাজের সুবিধার্থে মুগল সম্রাট আকবর ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১০/১১ মার্চ বাংলা সন প্রবর্তন করেন। হিজরি চান্দ্রসন ও বাংলা সৌরসনকে ভিত্তি করে বাংলা সন প্রবর্তন করেন। নতুন সনটি প্রথমে ‘ফসলি সন’ নামে পরিচিত ছিলো, পরে তা ‘বঙ্গাব্দ’ নামকরণ করা হয়। তবে সম্রাট আকবরের সময় থেকে বাংলা নববর্ষ ভিন্নমাত্রায় পালিত হতে থাকে। অনুমান করা হয় বাঙালি সংস্কৃতির পুরোধা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার শান্তিনিকেতনে বৈশাখ মাসে নববর্ষের উৎসবের আয়োজন করে এ উৎসবকে অধিকতর সাংস্কৃতিক ও সামাজিক তাৎপর্যমণ্ডিত করে গেছেন এবং তা বাঙালি মানসে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলেছে।

নববর্ষের উৎসবের সাথে তিনটি প্রধান অনুষ্ঠান সম্পর্কিত: পুণ্যাহ, হালখাতা ও বৈশাখী মেলা। এগুলো খুব প্রাচীনকালের নয়। তবে আমাদের সাংস্কৃতিক ইতিহাসে এদের ভূমিকা থেকেও অনুমিত হয় যে, এগুলো ধর্মীয় অনুষ্ঠানের পর্যায়ে পড়ে না। পুণ্যাহ অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য ছিলো বছরের শুরুতে শুভ দিনে খাজনা আদায় আরম্ভ করা। এটি ছিলো জমিদার ও সর্বস্তরের প্রজার সর্বজনীন অনুষ্ঠান। ‘হালখাতা’ অনুষ্ঠানের দিনে ক্রেতা-বিক্রেতার অর্থনৈতিক লেনদেন মিটিয়ে দিয়ে নতুন করে তা শুরু করতো। ক্রমান্বয়ে পারিবারিক ও সামাজিক জীবনের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে মিশে পহেলা বৈশাখ আনন্দময় ও উৎসবমুখী হয়ে ওঠে এবং বাংলা নববর্ষ শুভ দিন হিসেবে পালিত হতে থাকে। নববর্ষের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের আর একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক বৈশাখী মেলার আয়োজন। নাগরদোলার ঘূর্ণিপাক, তালপাতার বাঁশী, লোকশিল্পের সামগ্রী বেচা-কেনা, খেলনা ও বিভিন্ন মিষ্টান্নের বিপুল সমাহার, নানা রকম গৃহস্থালির বেসাতি, বাউল ও লোকসঙ্গীতের আসর, গ্রাম্য নৃত্য, পুতুল নাচ, দলবেঁধে ঘুরে বেড়ানো এগুলো বৈশাখী মেলার প্রধান আকর্ষণ।

বাংলাদেশের ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে নববর্ষের অনুষ্ঠান বা উৎসব বিশেষ সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক তাৎপর্যে অভিসিক্ত। আইয়ুব খানের শাসনামলে অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বা আন্দোলনের সাথে বাংলা নববর্ষ পালনেও তৎকালীন সরকার বাঁধার সৃষ্টি করে। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে ‘নববর্ষ হিন্দুয়ানী অনুষ্ঠান’ হিসেবে আখ্যায়িত করে তাকে বাংলা এবং বাঙালির জীবন থেকে মুছে দিতে চেয়েছিলো কিন্তু বাঙালি জাতি সেই চক্রান্ত নস্যাৎ করে দিয়ে তাকে জাতীয় উৎসবে পরিণত করে। অবদমিত বাঙালি শাসকের নির্দেশ অমান্য করে বাংলা নববর্ষ পালন করে; রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী ওয়াহিদুল হক ও সনজীদা খাতুনের উদ্যোগে গড়ে ওঠে ‘ছায়ানট’ (১৯৬১) সংগঠন। ১৯৬৫ সালে সতের দিনব্যাপী পাক-ভারত যুদ্ধ হয়- ‘এ সময় পাকিস্তানের তৎকালীন তথ্যমন্ত্রী খাজা শাহাবুদ্দিন পাকিস্তান আদর্শের সাথে না মিললে রেডিও- টেলিভিশনে রবীন্দ্রসঙ্গীত প্রচার বন্ধ করে দেয়া হবে।’ একই সময় পহেলা বৈশাখ উদযাপন ও রবীন্দ্রসঙ্গীত প্রচার হিন্দু-সংস্কৃতির অংশ বলে ঘোষণা দেন খান এ সবুর। তারপর অতিদ্রুত পাকিস্তান রেডিও-টেলিভিশনে রবীন্দ্রসঙ্গীত প্রচার বন্ধ রাখা হয়। আইয়ুব সরকারের সংস্কৃতি চর্চার বিরোধিতার প্রতিবাদস্বরূপই বৈশাখের প্রথম দিনে ছায়ানট রমনার বটমূলে নববর্ষ পালনের আয়োজন করে। ১৯৬৫ সাল থেকে ‘ছায়ানট’ নিয়মিত ঢাকার রমনা-বটমূলে করে আসছে বর্ষবরণ উৎসব- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আগমনী গান ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’ গান গেয়ে বরণ করে নেয়া হয় বছরকে। পরে ক্রমশই এ অনুষ্ঠান বিপুল জনসমর্থন লাভ করে এবং স্বাধীকার আন্দোলনের চেতনায় পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর নীতির বিরুদ্ধে ও বাঙালি আদর্শের লালনে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় বাংলা নববর্ষ পালিত হতে থাকে।

বাংলা নববর্ষ আজ বাঙালির মহামিলন মেলায় রূপান্তরিত। আমরা এই জায়গাতে দারুণভাবে ঐক্যবদ্ধ এবং রোমাঞ্চিতও বটে। এখানে আরেকটু কথা যোগ করতে চাই, ভিন্ন ভিন্ন দলের রাজনীতিবিদদের মধ্যে অধিকাংশ বিষয়ে অমিল লক্ষ্য করা গেলেও আমরা নববর্ষ পালনে কিন্তু কোনো বিভেদ লক্ষ্য করি না- বরং আমরা অন্তত এই সময়টাতে দেখতে পাই এক নেত্রী আরেক নেত্রীকে, এক নেতা আরেক নেতার সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা দিচ্ছেন এবং নিচ্ছেন। নববর্ষ পালন শুধু বাঙালিদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই- বাংলা নববর্ষ ও চৈত্রসংক্রান্তি উপলক্ষে তিন পাবর্ত্য জেলায় (রাঙামাটি, বান্দরবন ও খাগড়াছড়ি) আদিবাসীদের ঐতিহ্যবাহী ‘বৈসাবি’ উৎসব আনন্দমুখর পরিবেশে পালিত হয়। ‘বৈসাবী’ হলো পাহাড়ীদের সবচেয়ে বড় উৎসব- এ উৎসবে চাকমারা ‘বিজু’ মারমারা ‘সাংগ্রাই’ এবং ত্রিপুরারা ‘বৈসুক’ উৎসব পালন করে। নববর্ষের দিন মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী ওয়াটার ফেস্টিভাল বা পানিখেলার আয়োজন করা হয়।

তবে আজকাল নববর্ষ গ্রামে-শহরে সবশ্রেণি পেশার মানুষের আনন্দ মিলন-চেতনার নতুন ঐতিহ্য সৃষ্টি করেছে। প্রতিটি জেলা শহরেই আয়োজন করা হয় বৈশাখী মেলার। ১৯৮৫ সালের ১৪ এপ্রিল (বাংলা ১৩৯২) চারুপিঠ আর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা মাহবুব জামিল শামীমের উদ্যোগে যশোর জেলায় প্রথম বের হয় বর্ণিল মঙ্গলশোভাযাত্রা। কালের খেয়ায় ভেসে ভেসে তা আজ বাংলা বর্ষবরণের প্রধান ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে চিহ্নিত। শুরুতে যশোরে ‘বর্ষবরণ শোভাযাত্রা’ পরে ঢাকায় তার নামকরণ হয় ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’ এবং বর্তমানে এর নাম ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’। ২০১৬ সালে ইউনেস্কো ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’কে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে ঘোষণা করে এর মর্যাদা এবং গুরুত্বকে বাড়িয়ে দিয়েছে। তাই আজ বাঙালির বর্ষবরণ সর্বজনীন অবস্থা থেকে বিশ্বজনীন অবস্থায় রূপ নিয়েছে। বর্তমানে ঢাকায় চারুকলা অনুষদ থেকে সকালবেলা প্রধান ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ বের হয় এবং সাথে সাথে দেশের সর্বত্রই একই দৃশ্য চোখে পড়ে। বাংলা বর্ষের প্রভাতে সূর্যদয়ের সাথে সাথে রমনাপার্কে ‘ছায়ানট’ সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সর্বসাধারণ বিমোহিত হয়। এছাড়া বাংলা একাডেমি মাসব্যাপী বৈশাখী মেলার আয়োজন করে। তাই এসব বিবেচনায় বাঙালি এবং বাংলাদেশিদের জীবনে নববর্ষ যে নতুন প্রাণের স্পন্দন সৃষ্টি করে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

বাংলা নববর্ষ উদযাপনের মধ্যদিয়ে জাতি হিসেবে আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সচেতনতা বৃদ্ধি করে; তা সাংস্কৃতিক জাতি কিংবা রাষ্ট্রজাতি হিসেবে আমাদের ঐক্যবদ্ধ রাখতে শক্তি যোগায়। যারা ধর্ম, বর্ণ, গোত্র চেতনা ও আঞ্চলিকতার গোঁড়ামি দিয়ে আমাদের জাতীয় বিকাশে ফাটল ধরাতে চায় তাদের অপচেষ্টা প্রতিহত করে এগিয়ে যেতে নববর্ষ হয়ে ওঠে আমাদের চেতনার মশাল। এই মিলনোৎসবের ভেতর দিয়ে আমাদের জীবনে প্রীতিময়তার বিস্তার ঘটে। বাংলা নববর্ষ শুভ ইচ্ছা, শুভ সংকল্প সকল বাঁধার পাহাড় ডিঙিয়ে জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোত্র-শ্রেণি-পেশার মানুষের ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে চলার প্রেরণায় আমাদেরকে উজ্জীবিত করে।

 

সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজ, চুয়াডাঙ্গা।