মালাগার কাছে পরাজিত হয়ে রিয়ালকে ধরতে ব্যর্থ বার্সেলোনা

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: টেবিলের অনেকটাই নিচের দিকে থাকা দুর্বল মালাগার কাছে ২-০ গোলে পরাজিত হয়ে শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদকে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে বার্সেলোনা। শনিবার রাতে পরাজয়ের পাশাপাশি দলের তারকা স্ট্রাইকার নেইমারের লাল কার্ড কাতালান শিবিরে বাড়তি দুশ্চিন্তা যুগিয়েছে। এর ফলে বার্সেলোনা এখনো রিয়ালের থেকে তিন পয়েন্ট দুরেই থাকলো। তার ওপর শীর্ষে থাকা মাদ্রিদের হাতে রয়েছে বাড়তি এক ম্যাচ। এর আগে মাদ্রিদ ডার্বিতে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাটলেটিকোর সাথে ১-১ গোলে ড্র করায় লুইস এনরিকের দলের সামনে সুযোগ এসেছিল মালাগার বিপক্ষে জয়ী হয়ে রিয়ালের সাথে পয়েন্ট সমান করার। কিন্তু জয় তো দুরের কথা ড্র করে এক পয়েন্টও অর্জিত হয়নি বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের।

জেরেমি ম্যাথিউর বাজে ডিফেন্সের সুযোগে হুয়ান কার্লোসের সহায়তায় বিরতির আগে স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন সান্দ্রো রামিরেজ। ৬৫ মিনিটে কর্নার ফ্ল্যাগের কাছে দিয়েগো লরেন্তেকে বাজেভাবে ফাউলের সুবাদে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড পেয়ে নেইমার মাঠের বাইরে চলে গেলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়ে ওঠে বার্সেলোনার জন্য। ম্যাচের একেবারে শেষ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে জনি ব্যবধান দ্বিগুণ করলে স্বাগতিক শিবির উল্লাসে ফেটে পড়ে।

২০০৩ সালের পর থেকে লা লিগায় এ পর্যন্ত লা রোসালেদায় অপরাজিত ছিলো বার্সেলোনা। পরিসংখ্যানের পাশাপাশি সবদিক থেকেই মালাগার থেকে এগিয়ে ছিলো বার্সেলোনা। কিন্তু আগের ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করা মালাগা এটাই প্রমাণ করেছে বড় দলগুলোর বিপক্ষে তারাও সমান তালে লড়তে পারে। সপ্তাহের মাঝামাঝিতে স্পোর্টিং গিওনের বিপক্ষে ১-০ গোলের জয় মিশেলের শিষ্যদের বাড়তি আত্মবিশ্বাস যুগিয়েছিলো। এর ফলে তারা ছয় ম্যাচ জয়বিহীন থাকা থেকে বেরিয়ে আসে। ২০১৬-১৭ মরসুমে এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মত বার্সেলোনাকে হতাশ করলো মালাগা।

যদিও ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য ছিলো বার্সেলোনার দিকেই। ১৬ মিনিটে সফরকারীদের প্রায় লিড এনেই দিয়েছিলেন লুইস সুয়ারেজ। জর্ডি আলবার লম্বা দূরত্বের বল থেকে অফ সাইড ট্র্যাপ কাটিয়ে সুয়ারেজ গোলরক্ষক কার্লোস কামেনিকে একা পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি। এর পরে মালাগা ধীরে ধীরে ম্যাচের আবহের সাথে নিজেদের মানিয়ে নেয়। প্রথমার্ধের মাঝামাঝিতে রেসিও মালাগাকে প্রায় এগিয়ে দিয়েছিলেন কিন্তু এই মিডফিল্ডারের ৩০ গজ দূর থেকে শট গোলবারের অনেক দুর দিয়ে বাইরে চলে যায়। ৩২ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে সান্দ্রো টার স্টেগানকে কাটিয়ে দলকে এগিয়ে দেন।

বিরতির পরেও বার্সেলোনার আধিপত্য বজায় ছিলো। কিন্তু কাঙ্খিত গোলের দেখা পাচ্ছিলো না। ৫৭ মিনিটে সান্দ্রোর পাস থেকে জুয়ানপির শট সরাসরি টার স্টেগানের হাতে ধরা পড়ে। নেইমারের একক প্রচেষ্টায় বার্সা সমতা আনতে ব্যর্থ হয়। কিন্তু ৬৫ মিনিটে এই ব্রাজিলিয়ানের হতাশা আরো বাড়িয়ে দেন রেফারী জেসাস গিল মানাজানো। লরেন্তেকে ফাউলের অপরাধে দ্বিতীয় হলুদকার্ড পেয়ে নেইমারকে মাঠ ছাড়তে বাধ্য করেন মানজানো। এরপরই আডারবার্তো পেনারানডারার গোল অফ সাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু লাইন্সম্যানের এই সিদ্ধান্ত মালাগার জয় রুখতে পারেনি। বরং শেষ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে বদলী খেলোয়াড় জনি দলের পক্ষে দ্বিতীয় গোল করলে স্বস্তির জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা।