পাটের মোড়ক ব্যবহারে বিশেষ অভিযান ১৫ মে

 

স্টাফ রিপোর্টার: ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার ও চিনি সংরক্ষণ এবং পরিবহনে আবারো প্লাস্টিকের বস্তার ব্যবহার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ওইসব পণ্যসহ ১৭টি পণ্য সংরক্ষণ ও পরিবহনে পাটের মোড়কের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে সারাদেশে আবারো বিশেষ অভিযান শুরু করা হবে। তা আগামী ১৫ মে থেকে শুরু হবে। গতকাল রোববার সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভায় বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফয়জুর রহমান চৌধুরী, পাট অধিদফতরের মহাপরিচালক মোছলেহ উদ্দিন, বিজেএমসির চেয়ারম্যান ড. মো. মাহমুদুল রহমানসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, কৃষি, শিল্প মন্ত্রণালয়, বিজেএমএ প্রতিনিধি ও বিভিন্ন স্টেকহোল্ডাররা উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেন, ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০’ বাস্তবায়নে এবার কারাদণ্ড, অর্থদণ্ড, ব্যাংক ঋণ সুবিধা বন্ধ, লাইসেন্স বাতিল, আইআরসি বা ইআরসি বাতিলের জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে আরো কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ জন্য এবার বিশেষ অভিযানে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের ওপর বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে। ২০১৫ সালের ১৭ ডিসেম্বর ছয়টি পণ্য- প্রথমে ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার ও চিনি মোড়কীকরণে পাটের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল।’ পরে গত ২১ জানুয়ারি আরো ১১টি পণ্যে (মরিচ, হলুদ, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, ডাল, ধনিয়া, আলু, আটা, ময়দা, তুষ-খুদ-কুঁড়া) পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহারের জন্য নির্ধারণ করা হয় বলে জানান তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আবারো ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার ও চিনি সংরক্ষণ ও পরিবহনে প্লাস্টিকের বস্তার ব্যবহার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এটি রোধ করতে ঢাকাসহ সারাদেশে বিশেষ অভিযান পরিচালিত হবে। এজন্য সব বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের এ আইন সুষ্ঠু বাস্তবায়নে আগের মতো মোবাইল কোর্ট পরিচালনাসহ মনিটরিংয়ের জন্য আবারো নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’ আইনের ১৪ ধারা অনুযায়ী, পাটের মোড়ক ব্যবহার না করলে অনূর্ধ্ব এক বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। এ অপরাধ পুনরায় সংঘটিত হলে সর্বোচ্চ দণ্ডের দ্বিগুণ দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। আইন বাস্তবায়ন অগ্রগতি বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সব যুগ্ম সচিবের সমন্বয়ে নয়টি মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। সভায় জানানো হয়, আইনটি সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়িত হলে প্রতিবছর ১০০ কোটি পাটের বস্তার চাহিদা সৃষ্টি হবে। স্থানীয় বাজারে পাট ও পাটজাত পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি, পাট চাষিরা পাটের ন্যায্যমূল্য পাবেন। এ ছাড়া পাটের উৎপাদন বৃদ্ধিসহ পাটের শিল্প ও পরিবেশ রক্ষা পাবে। ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর থেকে আইনের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য দেশজুড়ে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এর ফলে দেশের যে কোনো শহর-বন্দরে, হাটে-বাজারে আইনের অধীন ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার, চিনি সংরক্ষণ ও বিপণনে পাটজাত মোড়ক বা বস্তা দৃশ্যমান হয়ে ওঠে।