প্রতিরক্ষা সমঝোতা স্মারকে সই করে সরকার মানুষের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে : বিএনপির প্রতিক্রিয়া

 

স্টাফ রিপোর্টার: ভারতের সাথে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় সমঝোতা স্মারক বা চুক্তিতে স্বাক্ষর করে সরকার দেশের মানুষের সঙ্গে চরম বিশ্বাসঘাতকতা করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলটি বলছে, প্রতিরক্ষা চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের নিরাপত্তাকে আরো বেশি উন্মোচিত এবং দুর্বল করল সরকার। জনগণকে অন্ধকারে রেখেই এসব চুক্তির উদ্দেশ্য হলো অনির্বাচিত শাসকগোষ্ঠীর ক্ষমতাকে পোক্ত করা। জনগণের বাঁচামরার প্রশ্ন তিস্তা চুক্তি নিয়ে কথা বলছে না সরকার। কারণ কথা বললে তো তাদের বন্ধুরা বিরক্ত হবে, মনঃক্ষুণ্ন হবে। এ জন্যই তারা তিস্তা নিয়ে কথা বলে না। গতকাল শনিবার বিকেলে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ।

রিজভী বলেন, চুক্তির নেতিবাচক দিক উপলব্ধি করা সত্ত্বেও শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রী এসব চুক্তিতে সই করেছেন। আমাদের বিশ্বাস কম ছিলো, কিন্তু কিঞ্চিত্ ধারণা ছিলো হয়তোবা দেশ ও দেশের মানুষের কথা দৃঢ়ভাবে হলেও চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রী প্রতিরক্ষার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক বা চুক্তিতে সই করবেন না। কিন্তু জনগণকে অন্ধকারে রেখে, কোনো কিছু না জানিয়ে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) গণমাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ২২টি চুক্তি এবং ৪টি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেছেন। এর মধ্যে প্রতিরক্ষা বিষয়ে দুটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। তাই বিএনপি মনে করে এতে দেশ ও দেশের জনগণের প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। এটা জনগণকে তাচ্ছিল্য করার শামিল।

রিজভী আরো বলেন, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সমঝোতা স্মারক বা চুক্তিতে সই করার আগে জনগণকে একটি শব্দও অবহিত না করা গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। কারণ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত বাংলাদেশ ও দেশের মানুষকে গুরুত্ব দেয় না। তারা শুধু এ দেশের একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলকে রক্ষা করতে চায়, যারা এখন জোর করে ক্ষমতায়। শুধু তাই নয়, তাদেরকে ক্ষমতায় রাখতে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির আগে কূটনীতিক পাঠিয়েছিলো।