জীবননগর ব্যুরো: বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির পদত্যাগ চায় উথলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা। তারা সভাপতি কাজলের পদত্যাগ দাবি করে মানববন্ধন করেছে। তাদের অভিযোগ সভাপতির কারণে বিভিন্নভাবে তাদেরকে হয়রানি করা হচ্ছে। অপনমান করা হচ্ছে এবং শাস্তি দেয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে সভাপতির বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে ছাত্রীরা লিখিতভাবে নালিশ করেছে।
তবে অভিযুক্ত সভাপতি সালাউদ্দীন কাজল জানান, স্কুলের নিয়ম-শৃঙ্খলা ভাঙতেই এই মানববন্ধন! ইচ্ছা মাফিক স্কুলে যাতায়াত, মোবাইল নিয়ে স্কুলে আসা, লেখাপড়ায় খারাপ করলে অভিবাবকের নিকট নালিশ না করা এবং টেস্ট পরীক্ষায় ফেল করলেও পরীক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে এমন দাবি-দাওয়া নিয়েই গতকাল রোববার জীবননগর উপজেলার উথলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা সভাপতির পদত্যাগ চেয়ে মানববন্ধন করে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্কুলটি পরিদর্শন করেছেন। এ ব্যাপারে ছাত্রীদের পক্ষ থেকে ইউএনও বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
সভাপতি সালাউদ্দীন কাজল বলেন, স্কুলের শিক্ষার মান বৃদ্ধি ও ছাত্রীদের নিয়ম-কানুনের মধ্য থেকে লেখাপড়া করার জন্য উথলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষক ম-লী যৌথভাবে কাজ করে যাচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শিক্ষক ও ছাত্রীদের স্কুলে আসা এবং বেলা ৪টা পর্যন্ত ক্লাস চলার নিয়ম। ইচ্ছা করলেই বিনানুমতিতে স্কুলে ত্যাগ করার নিয়ম নেই ছাত্রীদের। মোবাইলফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ রয়েছে স্কুলটিতে। এ নিয়মের ফলে গত দু বছরে এ স্কুলের শিক্ষার মান বৃদ্ধি পেয়েছে সেই সাথে বৃদ্ধি পেয়েছে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যাও। গত বছর এ স্কুলটি এ উপজেলার মধ্যে অন্যতম সেরা স্কুল হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। এ অবস্থার মধ্যে স্কুলের ছাত্রীরা এ নিয়ম ভাঙতে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে তারা। তাদের দাবি সুষ্ঠুভাবে স্কুল পরিচালনার নামে ম্যানেজিং কমিটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিভাবকদের অপমান করে থাকে। যা তাদের অপচ্ছন্দ। খবর পেয়ে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিম রেজা গতকালই স্কুলে যান এবং বিক্ষুব্ধ ছাত্রীদের সাথে কথা বলেন। এসময় তার নিকট ছাত্রীদের পক্ষ হতে একটি অভিযোগপত্র তুলে দেয়া হয় বলে জানা যায়। উথলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সভাপতি কাজল আরও বলেন, উথলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান বিগত দিনে অত্যান্ত নাজুক অবস্থায় ছিলো। সেখান থেকে বিদ্যালয়টিকে উপজেলার সেরা স্কুলে পরিণত করার চেষ্টা করে সফলতা পাওয়া গেছে। গতবছর এসএসসি পরীক্ষায় ৮টি জিপিএ-৫সহ পাসের হার সন্তোষজনক অবস্থায় পৌঁছায়। উপজেলার সেরা স্কুলে পরিণত হয় উথলী বালিকা বিদ্যালয়। সেই সাথে গত দু বছরে স্কুলের অবকাঠামোগত উন্নয়নও হয়েছে চোখে দেখার মতো। বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির তত্ত্বাবধানে স্কুলের শিক্ষার মান বৃদ্ধি ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন দেখে একটি কুচক্রী মহলের ঈর্শ্বার মধ্যে পড়েছে ম্যানেজিং কমিটি। তারা বিদ্যালয়টির কোনো কিছুরই ভালো চান না। কুচক্রী ওই মহলটি স্কুলের কোমলমতি ছাত্রীদের ভুল বুঝিয়ে ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুলেছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার মানোন্নয়নে যা মেনে নেয়া যায় না।