লংকানদের কাছে হারলো টাইগার যুবারাও

 

স্টাফ রিপোর্টার: ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরেছে বাংলাদেশ। ফলে সেমিফাইনাল থেকেই বিদায় নিতে হল বাংলাদেশকে। গতকাল শনিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার কাছে ৮ উইকেটে পরাজিত হয় টাইগাররা। প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ ১৭৯ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল। আর মাত্র ২ উইকেট হারিয়েই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় লঙ্কানরা। টাইগার বোলাররা ১৫ রানের মধ্যেই ২ উইকেট তুলে নিয়ে আশা জাগিয়েছিলেন। তবে সামারাবিক্রম ও চারথি আশালঙ্কা ১৬৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে ম্যাচ বের করে নেন। সামারাবিক্রম ৮৮ ও আশালঙ্কা ৮৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।

তবে দুই ব্যাটসম্যানই একবার করে জীবন পান। ৬৮ রানে জীবন পান সামরাবিক্রমা। আফিফ হোসেনের বলে তার শট-লেগে ক্যাচ ছাড়েন অধিনায়ক মুমিনুল। দলীয় ১৫০ রান পেরোনোর পর নাঈমের বলে আশালঙ্কার ক্যাচ ছাড়েন নাসুম আহমেদ। এরপর আর সুযোগ দেননি এদের কেউই। ব্যাট করার সময় মাথার যন্ত্রণায় অসুস্থ হয়ে পড়া আবুল হাসান রাজু মাঠে নামতে পারেননি। এই পেসার না নামতে পারায় এক পেসার নিয়ে খেলতে হয়েছে মুমিনুলদের। একটি করে উইকেট নেন দুই তরুণ সাইফউদ্দিন ও নাঈম হাসান। এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শ্রীলংকাকে ১৮০ রানের টার্গেট দেয় বাংলাদেশ। ৪৯.৩ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭৯ রান তোলে মুমিনুল হকের দল। শুরুটা দেখে মনে হয়েছিলো জহুর আহমেদের উইকেট ব্যাটসম্যানদের জন্য রানের স্বর্গ। ইনিংসের প্রথম বলেই চার মেরে শুরু সাইফ হাসানের। অপর ওপেনার আফিফ হোসেন স্ট্রাইক পেয়েই স্কয়ার লেগ দিয়ে মারলেন দর্শনীয় চার। আসিথা ফার্নান্ডোর ওই ওভার থেকে এলো ১১ রান।

নিজের চতুর্থ আর ইনিংসের সপ্তম ওভারে অন্যরূপ দেখালেন সেই ফার্নান্ডোই। প্রথম তিন বলে তুলে নিলেন তিন উইকেট। ১৯ বছরের এই তরুণ হয়ে গেলেন ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপের প্রথম হ্যাটট্রিকম্যান। দলীয় ২০ রান পর্যন্ত উইকেটে সাবলীল ছিলেন সাইফ-আফিফ জুটি। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত যথার্থ মনে হচ্ছিল ওই সময়। কিন্তু মুহূর্তেই সাগরিকায় পাল্টে গেল দৃশ্যপট। ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগে বোল্ড হন আফিফ (৮)। অধিনায়ক মুমিনুল হক কাট করতে গিয়ে ধরা পড়েন উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে। দারুণ এক ইয়র্কারে অফস্টাম্প উড়ে গেল নাজমুল হাসান শান্তর। হ্যাটট্রিক উদযাপন করলেন লংকান ক্রিকেটাররা। লঙ্কান পেসার আসিলা ফার্নান্দোর হ্যাটট্রিকে বিপর্যয়ে পড়া স্বাগতিক দলের ইনিংস টেনে নেন নাসির হোসেন ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। নাসির ৩৯ রান করে লেগস্পিনার অনিন্দ্য ডি সিলভার বলে এলবিডব্লিউ হন। ৩৭ করে অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে বিদায় নেন সাইফউদ্দিন। ২৩ রান করা আবুল হাসান রাজু মাথার যন্ত্রণায় মাঠ ছাড়েন। পরে আর মাঠে নামা হয়নি এ অলরাউন্ডারের। স্ট্রেচারে করে ড্রেসিংরুমে নেয়া হয়েছে তাকে। এর ফলে ৯ উইকেট পতনেই ইনিংস শেষ হয়েছে স্বাগতিক দলের। ইনিংস সেরা ৪১ রান করেন সাইফউদ্দিন। ২৩ রানে রিটায়ার্ড হার্ট হন আবুল। নাসির হোসেন করেন দ্বিতীয় সেরা ৩৮ রান। ফার্নান্দো ১০ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে নেন সর্বোচ্চ ৪ উইকেট।