ঝিনাইদহে শাদা পোশাকে পুলিশ পরিচয়ে ৫ জনকে তুলে নেয়ার অভিযোগ : জিডি নেয়নি পুলিশ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: শাদা পেশাকে পুলিশ পরিচয়ে ঝিনাইদহে ১০ দিনের ব্যবধানে বিভিন্ন স্থান থেকে ৫ ব্যক্তিকে পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। এর মধ্যে কোটচাঁদপুর উপজেলা থেকে তিনজন ও সদর উপজেলা থেকে দুজনকে নিয়ে যাওয়া হয়। নিখোঁজ ব্যক্তিদের মধ্যে স্থানীয় একটি কলেজের অধ্যক্ষও রয়েছেন।

নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারসূত্রে জানা গেছে, গত ২২ মার্চ কোটচাঁদপুরের জালালপুর গ্রামের ইমরুল হোসেন, সদর উপজেলার কাশিমনগর গ্রামের ইব্রাহিম গাজি ও রেজাউল ইসলামকে পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এছাড়া কোটচাঁদপুরের বলাবাড়িয়া গ্রামের আলম খানকে গত মঙ্গলবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। আর কোটচাঁদপুর পৌর কলেজের অধ্যক্ষ হুমায়ন কবিরকে বুধবার দুপুরে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলোর স্বজনেরা বলছেন, তারা কোথাও নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান পাচ্ছেন না। থানায় খোঁজ নিতে গেলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না।

নিখোঁজ ইমরুল হোসেনের স্ত্রী চম্পা খাতুন বলেন, ২২ মার্চ রাত ১২টার পর পুলিশ পরিচয়ে কয়েকজন বাড়ির দরজা খুলতে বলেন। দরজা খোলার পর ইমরুলকে বের করে গাড়িতে তোলা হয়। কী কারণে তাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, জানতে চাইলে ওই ব্যক্তিরা বলেন, এক আসামির বাড়ি চেনার জন্য তাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এরপর থেকে তার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। কোটচাঁদপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে গেলে পুলিশ নেয়নি।

নিখোঁজ আলম খানের ছেলে জুবায়ের খান সাংবাদিকদের বলেন, তার বাবাকে মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ পরিচয় দেয়া ৮-১০ জন। কোটচাঁদপুর পৌর কলেজের দফতরি শাহজাহান আলী জানান, বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে একটি শাদা মাইক্রোবাস এসে থামে তাদের কলেজের পাশে। এরপর অধ্যক্ষ হুমায়ন কবিরকে ডাক দেন শাদা পোশাকের অস্ত্রধারী ব্যক্তিরা। মাইক্রোবাসের কাছে যাওয়ার সাথে সাথে তাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

ঝিনাইদহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ বলেন, এ ধরনের খবর তারাও শুনেছেন। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে কাউকে তুলে আনার কথাটি ঠিক নয়। তারাও নিখোঁজ ব্যক্তিদের খোঁজ করছেন।