ফলোআপ : মুক্তিপণ দিয়ে ৪৮ ঘণ্টা পর বাড়ি ফিরলেন চুয়াডাঙ্গার বিত্তেরদাড়ি গ্রামের করিমনচালক মামদুল : অপহরণ না-কি অন্যকিছু?

বেগমপুর প্রতিনিধি: মুক্তিপণ দিয়ে ৪৮ ঘণ্টা পর বাড়ি ফিরলেন চুয়াডাঙ্গা সদরের বিত্তেরদাড়ি গ্রামের করিমনচালক মামদুল। বর্ণনা দিলেন বন্দিশালা থেকে ফিরে আসা ও নির্যাতনের। শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় বেশি কথা বলতে চাইলেন না মামদুল। প্রশ্ন উঠেছে অপহরণ না-কি অন্যকিছু।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নবগঠিত গড়াইটুপি ইউনিয়নের মৃত আলাউদ্দীনের ছেলে করিমনচালক মামদুল (৩০) গত সোমবার সকালে বাড়ি থেকে করিমন নিয়ে বের হন। পরদিন গত মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে অপরিচিত নম্বর থেকে মামদুলের পরিবারের সদস্যদের নিকট মামদুলকে অপহরণ করা হয়েছে। তাকে ফিরে পেতে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ লাগবে। এ সংবাদে পরিবারের লোকজনের মধ্যে শুরু হয় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। মুক্তিপণের টাকা নিয়ে দরকষাকষি চলতে থাকে পরিবারের সদস্যদের সাথে। সর্বশেষ ২০ হাজার টাকা দাবি করে এবং ০১৯১০৩৩৫৭৩৩ এ বিকাশ নম্বরে পাঠিয়ে দিতে বলে। মুক্তিপণের টাকা হাতে হাতে দেয়ার প্রস্তাব দিলে অপহরণকারীরা একেক সময় একেক জায়গার ঠিকানা দেয়। তবে একটি সূত্র বলেছে, বিকাশে মুক্তিপণের টাকা দিয়েই বাড়ি ফিরেছেন মামদুল। গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে অসুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফেরেন মামদুল। ৪৮ ঘণ্টা পর বাড়ি ফিরে ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, সোমবার সকালে বাড়ি থেকে করিমন নিয়ে দশমাইল বাজারে যান। সেখানে করিমন রেখে গাড়ির মালামাল কিনতে ঝিনাইদহ যান। রাস্তায় ঘোরাফেরা করার সময় একটি কালো রঙের মাইক্রোতে কয়েকজন আমাকে তুলে চোখ বেঁধে নিয়ে যায়। তারপর একটি ঘরের মধ্যে হাত-পা ও চোখ বেঁধে রেখে বুকের ওপর ইট চাপা দিয়ে বাড়িতে ফোন করতে বলে। তাদের কথামতো জীবন বাঁচাতে যা যা বলতে বলেছে আমি তাই-ই বলেছি। সর্বশেষ মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে যশোর রেলস্টেশন থেকে আমাকে ট্রেনে তুলে দিলে রাত ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা স্টেশনে নেমে অসুস্থ শরীর নিয়ে এক আত্মীয়ের বাড়িতে উঠি। আর ৪৮ ঘণ্টায় কি ঘটেছে কীভাবে মুক্তি পেলাম সে সব বিষয়ে মুখ খুলতে নিষেধ করে দিয়েছে তারা। কতো টাকা মুক্তিপণ লেগেছে এমন প্রশ্নের জবাবে মামদুল নীরব ছিলেন। গ্রামবাসীর মধ্যে প্রশ্ন জেগেছে এটা কি অপহরণ না-কি নেপথ্যে অন্যকিছু রয়েছে। বিষয়টি প্রশাসনের খতিয়ে দেখা দরকার।