কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: মাটি দিয়ে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর মহাসড়কের ভাঙা, গর্ত ভরাট করেছে স্থানীয়রা। রাস্তার বেহাল দশার কারণে এবং সংস্কারের অভাবে দিনদিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এই মহাসড়কটি। প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। রাস্তায় ভেঙে পড়ছে যানবাহন, খুলে যাচ্ছে চাকা, বাস পড়ছে খাঁদে আর সড়ক দুর্ঘটনা এটা যেন এই জরাজীর্ণ মহাসড়কের নিত্য দিনের রুটিন। তার সাথে আছে বিকট শব্দ। রাতে যান বাহন গেলে কেঁপে ওঠে আশেপাশের এলাকা। আর বৃষ্টি হলে তো কথায় নেই বৃষ্টির পানি জমে যায় রাস্তায়। দুর্ভোগ কিছুটা কমার জন্য এলাকার সাধারণ মানুষ মাটি দিয়েই ভরাট করেছে রাস্তার খন্দ। গতকাল মঙ্গলবার সকালে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর মহাসড়কের কচুবাড়িয়া নামক স্থানে এমনটাই চিত্র চোখে পড়ে।
সরোজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, কুষ্টিয়া-মেহেরপুর মহাসড়কে মিরপুর তালতলা থেকে মহদীপুর পর্যন্ত রাস্তার অধিকাংশ পুটিং করা রয়েছে। গর্ত আর ছোট ছোট ভাঙায় যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে কুষ্টিয়া-মেহেরপুরের গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কটি।
স্থানীয় আব্দুর রাজ্জাক জানান, রাস্তার যে বেহাল দশা সেটা কেউ দেখে না। রাস্তার ধুলা-বালু আর গাড়ি চললে বিকট শব্দ হয়। যার কারণে স্থানীয়রা একত্র হয়ে মাটি দিয়ে ভরাট করেছে। তিনি আরও জানান, যারা রাস্তা ঠিক করতে আসে তারা যেভাবে ঠিক করে তা তখনই উঠে যায়। তারা চলে গেলেই রাস্তার পাথর উঠে যায়।
স্থানীয় রবিউল ইসলাম জানান, রাস্তাটি একেবারে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। রাতে কোনো গাড়ি গেলেই বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। তাছাড়া প্রতিনিয়ত এখানে দুর্ঘটনা ঘটতেই আছে। সড়ক বিভাগের চোখে এগুলো পড়ে না। তারা প্রায় প্রায়ই রাস্তা মেরামত করতে আসে তবে ৩ দিনের বেশি টেকে না। তাদের মেরামতের চেয়ে মাটি দিয়ে ভরাট করাই ভালো। তাতে কিছুটা নিরাপদ হবে। এজন্য এলাকাবাসী মাটি দিয়ে রাস্তার গর্থ ভরাট করেছে।
কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম জানান, রাস্তাটি নিচের অংশটা খুবই দুর্বল হয়ে গেছে যার কারণে রাস্তাটি মেরামত করা হলেও বেশিদিন স্থায়ী হয় না। তবে খুব শিগগিরই রাস্তাটি সংস্কার করা হবে। আশা করছি আগামী সপ্তাহ থেকে এর কাজ শুরু হবে।