স্টাফ রিপোর্টার: পেনশন সুবিধাসহ সরকারি রাজস্ব তহবিল থেকে পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদানের দাবিতে পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখা মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেন।
গতকাল মঙ্গালবার সাড়ে ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধনে চুয়াডাঙ্গা জেলার ৪টি পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধনে পৌর কর্মকর্তা কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি আয়ুব আলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পৌর কর্মকর্তা কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর-রশিদ, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম মনি, পৌর কর্মকর্তা কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন। এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন আলমডাঙ্গা পৌরসভা কর্মকর্তা কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, জীবননগর পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি সাজেদা আক্তার।
এ সময় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের অধিকাংশ পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারী মাসের পর মাস বেতন ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করেন। বেতন ভাতা না পাওয়ার কারণে পরিবার পরিজন নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে জীবন কাটাতে হয়। চাকরি থেকে অবসর নেয়ার সময় খালি হাতে বিদায় নিতে হয়। আর্থিক অনাটনের কারণে প্রতিনিয়তই সমাজের কাছে হেয় প্রতিপন্ন হতে হয়। ভবিষ্যত তহবিলের অর্থ আদায় করতে বছরের পর বছর ঘুরতে হয়। তাতে সামান্য অর্থ পেলেও তা দিয়ে কিছু দিন অতিবাহিত হলেও বাকি দিনগুলোতে মানবেতর জীবন কাটাতে হয়। বক্তারা আরও বলেন, পৌরসভা একটি প্রশাসনিক অংশ হিসেবে বাংলাদেশে সংবিধানে স্বীকৃতি পেলেও এখানে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বৈষম্যের শিকার হয়ে আছেন। পৌরসভা স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে পৌরবাসীর সেবা দিয়ে আসছেন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সেনিটেশন জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, সড়কবাতি, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ অবকাঠামো, রাস্তা-ঘাট, ড্রেন ডাস্টবিন প্রভৃতি নির্মাণ করে প্রতিনিয়ত পৌরবাসীর সেবা করে আসছেন। মানববন্ধন শেষ করে অ্যাসোসিয়েশনের নেতাকর্মীরা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) অব্দুর রাজ্জাকের মাধ্যমে তাদের দাবিসমূহ বাস্তবায়নের জন্য প্রধনামন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেন।