আগামী বৃহস্পতিবার প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ
স্টাফ রিপোর্টার: অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধে প্রশাসন, মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ এবং ইটভাটা মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে যৌথ মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় অনুষ্ঠিত সভায় অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ বেশকিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। ইটের গাড়ি রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত সাময়িকভাবে চলাচল করবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার বেলা ১০টায় পুলিশ লাইনে করনীয় ঠিক করতে পরবর্তী সভা আহ্বান করা হয়েছে।
মতবিনিময়সভায় পুলিশ সুপার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তরিকুল ইসলাম, ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আহসান হাবীব, ৪ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ, বিআরটিএ’র পরিদর্শক এসএম সবুজ, মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান লাভলু, ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল মান্নান নান্নু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব, জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হাসান জোয়ার্দ্দার টোকন, জেলা বাসমালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক একেএম মইনুদ্দিন মুক্তা, ভাটামালিক হাসান ইমাম বকুল, বাসমালিক সমিতির নেতা আব্দুল হালিম, নাজমুল হক, মিয়া মোহাম্মদ শোয়েব রনজু, জেলা বাস-ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রিপন মণ্ডল, জেলা ট্রাক-ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক ইসলাম উদ্দিন এসময় উপস্থিত ছিলেন।
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, এখন থেকে আগামী বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত সাময়িকভাবে পণ্য পরিবহন করতে পারবে। তবে, আঞ্চলিক মহাসড়কে সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কোনো আলমসাধু, নসিমন ও করিমন যাত্রী পরিবহন করতে পারবে না। আগামী বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় পুলিশ লাইনে এক কর্মশালা বা নীতি প্রণয়ন বিষয়ক সভা আহ্বান করা হয়েছে। ওই সভায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, বাস-ট্রাক মালিক সমিতির প্রতিনিধি, শ্রমিক ইউনিয়ন, পরিবেশক সমিতি ও ইটভাটা মালিক সমিতিসহ সুশিল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করবেন।
তিনি আরও বলেন, ১৩ জন নির্মাণ শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনার পর অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। সব জায়গায় অবৈধ যাবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছি। পুলিশ লাইনে এসব রাখা হয়েছে। এগুলো ধ্বংশ করা এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।