স্টাফ রিপোর্টার: মাথাভাঙ্গা নদীতে অবৈধ কোমর ও বাঁশের সেতু অপসারণে প্রশাসনের বেঁধে দেয়া সময়সীমা চুয়াডাঙ্গা সদর ও দামুড়হুদা উপজেলায় শেষ হয়েছে। এখন যে কোনো দিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধ কোমর ও বাঁশের সেতু অপসারণে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
এদিকে, দামুড়হুদা উপজেলার পুড়াপাড়া-বিষ্ণুপুর মাথাভাঙ্গা ব্রিজের পাশে বিষ্ণুপুর গ্রামের রহমান নামে এক কৃষক তরমুজ উৎপাদনে জমি প্রস্তত করছেন। গতকাল বুধবার দুপুরে ওই জমিতে ক্ষেত তৈরি করতে দেখা গেছে। নদীর পাড় দখল করে চাষাবাদ করায় মাথাভাঙ্গা নদীটি হারিয়ে যেতে বসেছে। নদীর দুই তীরে চাষ বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে এলাকাবাসী।
চুয়াডাঙ্গা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ি, আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটবোয়ালিয়া থেকে দামুড়হুদা উপজেলার জয়নগর ভারত সীমান্ত পর্যন্ত ৭২ দশমিক ৬৪০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য মাথাভাঙ্গা নদী চলমান রয়েছে। নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে মৃত প্রায়। নদীতে শুস্ক মরসুমে নাব্যতা থাকে না। শুস্ক মরসুমে পানির গভীরতা প্রায় ১ দশমিক ২৫ মিটার এবং বর্ষা মরসুমে পানির গভীরতা প্রায় ৯ দশমিক ৫০ মিটার। মৃত এই মাথাভাঙ্গা নদীকে বাঁচাতে সম্প্রতি জেলা প্রশাসনের পক্ষে জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেন।
গত ১২ মার্চ অবৈধ কোমর ও বাঁশের সেতু অপসারণে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিটি এলাকায় তথ্য অফিসের গাড়িতে মাইকিং করা হয়। প্রশাসন গত ১৮ মার্চ অবৈধ কোমর ও বাঁশের সেতু অপসারণে সময়সীমা বেঁধে দেয়। একইভাবে দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে মাইকিং করা হয়েছে। ওই সময়সীমা গতকাল বুধবার শেষ হয়েছে।
অবৈধ কোমর ও বাঁশের সেতু অপসারণের বিষয়ে জানতে চাইলে, সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ জানান, নির্ধারিত সময়সীমা ১৮ মার্চ শেষ হয়েছে। শিগগিরই এসব অপসারণের কাজ শুরু হবে।
দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল আমিন জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে বেঁধে সময়সীমা ২২ মার্চ শেষ হয়েছে। শিগগিরই অপসারণের কাজ শুরু হবে।