১৫ আইনজীবীর কারাদণ্ড : ১ ঘণ্টা পর জামিন

 

স্টাফ রিপোর্টার: সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত ভাঙচুরের মামলায় জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতিসহ ১৫ আইনজীবীকে আড়াই বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে রায়ের এক ঘণ্টার মাথায় তাদের সকলকে জামিন দেন জেলার আরেকটি আদালত। গতকার মঙ্গলবার বিকেলে সাতক্ষীরা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক হাবিবুল্লাহ মাহমুদ ১৫ জন আইনজীবীকে আড়াই বছর করে কারাদণ্ড দেন। এছাড়া প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাস কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

আদালতের একটি সূত্র জানায়, এই রায় ঘোষণার পরপরই আদালত প্রাঙ্গণ জুড়ে হট্টগোল শুরু হয়। আইনজীবীরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। আইনশৃংখলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য এ সময় আদালত চত্বরে অবস্থান নেয়। এসময় বিক্ষুব্ধ আইনজীবীদের শান্ত করে এক ঘণ্টা পর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আপিল করেন সিনিয়র আইনজীবীরা। পরে জেলা ও দায়রা জজ জোয়ার্দার আমিরুল ইসলাম তাদের সবাইকে জামিন দেন।

সাজাপ্রাপ্ত আইনজীবীদের মধ্যে রয়েছেন- আইনজীবী সমিতির সাবেক পাঁচবারের সভাপতি শাহ আলম, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক তোজাম্মেল হোসেন তোজাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুস সাত্তার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের পিপি আসাদুজ্জমান দিলু।

মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক মো. ফখরুদ্দিনের বিরুদ্ধে ঘুষগ্রহণ, অসদাচরণ ও বিভিন্ন ধরনের অনিয়মের অভিযোগ এনে তার অপসারণ দাবিতে আইনজীবীরা আদালত বর্জন অব্যাহত অনশন কর্মসূচি পালন করেন। একই বছরের ২৭ নভেম্বর বিক্ষুব্ধ আইনজীবীরা তার আদালত কক্ষে বিচারক মো. ফখরুদ্দিনের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন আইনজীবীরা। এসময় বিক্ষুব্ধ আইনজীবীরা তার এজলাস কক্ষ ভাঙচুর করেন।

এ ঘটনায় মো. ফখরুদ্দিন নিজেই বাদী হয়ে সাতক্ষীরা থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলায় পুলিশ ১৭ জন আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট আদালত তাদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন। এ মামলায় সাতজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।