লঙ্কান ক্রিকেটের মৃত্যু ঘোষণা

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: কলম্বোর পি সারা ওভালে বাংলাদেশের কাছে ৪ উইকেটে হেরে শোকে মুহ্যমান শ্রীলঙ্কা। দেশটির ক্রিকেটার, বোর্ড, দর্শক এমনকি গণমাধ্যমও মেনে নিতে পারছে না বাংলাদেশের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট পরাজায়। লঙ্কান অধিনায়ক রঙ্গনা হেরাথতো ম্যাচ শেষেই বলেছেন, বাংলাদেশের কাছে এই হার তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে হারগুলোর একটি।

এদিকে লঙ্কান ইংরেজি পত্রিকা দ্য আইল্যান্ড রোববার তাদের ওয়েবসাইটে এই হারকে ‘মৃত্যুসম’ বলে নিজ দেশের ক্রিকেটের এক ‘এপিটাফ’ই প্রকাশ করেছে। দ্য আইল্যান্ড মৃত্যুফলক বানিয়ে তাতে লিখেছে: ‘আন্তরিকতার সঙ্গে স্মরণ করছি শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটকে। মৃত্যু: ১৯ মার্চ, ২০১৭, স্থান: দ্য ওভাল (পি সারা ওভাল)। এই মৃত্যুতে তার সকল শুভানুধ্যায়ী গভীরভাবে শোকাহত। আর.আই.পি (রেস্ট ইন পিস—আত্মা স্বর্গলাভ করুক)। পুনশ্চ: মৃতদেহ দাহ করা হবে এবং ছাই নিয়ে যাওয়া হবে বাংলাদেশ।’

আদতে এটি যতটা না ক্রিকেটের মৃত্যু, তার চেয়ে বেশি ক্রিকেটীয় অহংবোধের মৃত্যুর প্রতীক। বাংলাদেশের কাছে নিজেদের মাঠে হেরে যাওয়াকে শ্রীলঙ্কার অন্যতম পত্রিকাটি সেভাবেই দেখছে। এই এপিটাফটি ১৮৮২ সালে দ্য স্পোর্টিং টাইমসে লেখা রেজিন্যাল্ড ব্রুকসের সেই বিখ্যাত এপিটাফটির হুবহু অনুকরণ।

অ্যাশেজ সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ইংল্যান্ড ৭ রানে টেস্ট হেরে যাওয়ার পর ব্রুকস এটিকে প্রতীকী মৃত্যু হিসেবে দেখেছিলেন। এর পরপরই ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার এই আদি দ্বৈরথ ‘অ্যাশেজ’ সিরিজ নামে বিখ্যাত হয়ে যায়।