চুয়াডাঙ্গায় বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষককে নাইটগার্ডের কুপ্রস্তাব  দেয়া নাইটগার্ড মন্টু আটক : শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গায় স্কুল শিক্ষিকাকে বিদ্যালয়ের নাইটগার্ড কর্তৃক কুপ্রস্তাব দেয়ার ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। নাইটগার্ডের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে ছাত্র-ছাত্রীসহ এলাকাবাসী। নাইটগার্ড শাহেদ আলী মন্টুকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে দেয়া হয়েছে। তার শাস্তি ও বরখাস্তের দাবিতে ক্লাস বর্জন করেছে ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক মণ্ডলী। ধর্মীয় শিক্ষিকা মুসলিমা খাতুন বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় মামলা করেছেন।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষিকা মুসলিমা খাতুনকে দীর্ঘদিন ধরে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন স্কুলের নাইট গার্ড শায়েদ আলী মন্টু। এ নিয়ে রোববার ম্যানেজিং কমিটির সভায় তাকে পিটুনি দেয়া হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রোববার রাতে অভিযুক্ত নাইট গার্ড মন্টু বিদ্যালয়ের বিদ্যুত সংযোগের তার ছিঁড়ে দেন এবং প্রধান শিক্ষকের কক্ষে মল-মূত্র নিক্ষেপ করেন। সেই সাথে বিদ্যালয়ের প্রধান গেটে তিনটি তালা মেরে সটকে পড়েন। নাগদাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নাগদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একই গেট হওয়ায় দুটি স্কুলের কয়েকশ ছাত্র-ছাত্রী সোমবার সকালে বিদ্যালয়ে ঢুকতে না পেরে বিক্ষোভ করতে থাকে। তারা অভিযুক্ত মন্টুর বরখাস্তের দাবিতে বিদ্যালয় সংলগ্ন প্রধান সড়কে মানববন্ধন করে। উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে বেলা ১১টার দিকে তালা ভেঙে শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে। তবে ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকরা ক্লাস বর্জন করে নৈশপ্রহরী মন্টুর শাস্তির দাবিতে অনড় থাকেন। দুপুরে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ মন্টুকে আটক করে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনন্দ কুমার শীল জানান, মন্টুর বিরুদ্ধে শিক্ষিক মুসলিমা খাতুন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। মন্টুকে বরখাস্তের ব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটির পরবর্তী সভায় সিদ্ধান্ত হবে।