মাথাভাঙ্গা মনিটর: কলম্বোর পি.সারা ওভালে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে শততম টেস্ট খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ দল। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজেদের শততম টেস্টের প্রথম দিনটি আলো ছড়িয়ে শেষ করলো টাইগাররা। ২৩৮ রানের বিনিময়ে লংকানদের ৭ উইকেটে তুলে নিয়েছে বাংলাদেশের বোলাররা। আলো স্বল্পতার কারণে ৪১ বল আগেই দিনের খেলা শেষ হয়ে যায়।
শততম টেস্টের রোমাঞ্চ নিয়ে ২২ গজে টস লড়াইয়ে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক রঙ্গনা হেরাথের মুখোমুখি হন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ভাগ্য এবারও মুশির দিকে ফিরে তাকায়নি। যেমনটা তাকায়নি গল টেস্টে। তাই এবারও টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্বান্ত লঙ্কানদের।
দলনায়ক টস জিততে না পারলেও, হতাশ করেননি বাংলাদেশের বোলাররা। তারাও তো রোমাঞ্চের সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছেন। তাই শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনারকে দুর্দান্ত সব ডেলিভারিতে চেপে ধরেন টাইগার দুই উদ্বোধনী বোলার মুস্তাফিজুর রহমান ও শুভাশিষ রায়।
ফিজ ও শুভাশিষের তোপে শুরু থেকেই দিশেহারা স্বাগতিক দুই ওপেনার দিমুথ করুনারত্নে ও উপুল থারাঙ্গা। প্রথম ৬ ওভার শেষে শ্রীলংকার স্কোর বিনা উইকেটে ৬। এমন স্কোরই বলে দেয়, কতোটা অসহায় ছিলেন স্বাগতিক দুই ওপেনার।
অসহায়ত্ব থেমে যেতে পারতো, যদি ভাগ্য সহায় না হতো করুনারত্নে ও থারাঙ্গার। কারণ ওই ৩৬ ডেলিভারিতে বহুবার আউটের ফাঁদে পড়েছিলেন তারা। কিন্তু ভাগ্য পক্ষে কথা বলেনি বাংলাদেশের। অবশেষে নবম ওভারের চতুর্থ বলে প্রথম সাফল্য পায় বাংলাদেশ। গালিতে দাঁড়ানো মেহেদি হাসান মিরাজের সহায়তায় করুনারত্নকে ৭ রানেই থামিয়ে দেন মুস্তাফিজুর।
দলীয় ১৩ রানে প্রথম উইকেট তুলে নেয়ার পর ইনিংস মেরামতের দিকেই চোখ দিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কা। কিন্তু সেটি করতে দেননি মিরাজ। নিজের তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলে তিন নম্বরে নেমে ৫ রান করা কুশাল মেন্ডিসকে থামান তিনি।
ম্যাচে প্রথম উইকেট শিকারে আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন মিরাজ। তাই তার ঘূর্ণিতে ছন্দহীন ছিলো থারাঙ্গা। সেই ছন্দ অবশেষে থেমে যায় দলীয় ৩৫ রানে। নামের পাশে ১১ রান রেখে মিরাজের শিকার হন থারাঙ্গা।
দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় শ্রীলঙ্কা। সেখান থেকে লঙ্কানদের খেলায় ফেরানোর চেষ্টা করেন দীনেশ চান্ডিমাল ও আসলে গুনারত্নে। সাফল্যকে বড় করার পথেই হাঁটছিলেন তারা। কিন্তু মধ্যাহ্ন বিরতির ঠিক আগ মুহূর্তে এই জুটি ভেঙে শততম টেস্টের প্রথম সেশনটি বাংলাদেশের করে রাখেন পেসার শুভাশিষ। ১৩ রান করে থামেন গুনারত্নে। চতুর্থ উইকেটে এই জুটির ৩৫ রানের সুবাদে ৪ উইকেটে ৭০ রান নিয়ে প্রথম সেশন শেষ করে শ্রীলঙ্কা।
তবে দ্বিতীয় সেশনটি ছিলো শ্রীলঙ্কার। এই সেশনে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ৭৯ রান যোগ করেন চান্ডিমাল-ধনানঞ্জয়া ডি সিলভা ও উইকেটরক্ষক নিরোশান ডিকবেলা। পঞ্চম উইকেটে ৬৬ রানের জুটি গড়েন চান্ডিমাল ও ডি সিলভা। এই জুটিতে ভাঙন ধরান তাইজুল ইসলাম। ৩৪ রান করা ডি সিলভাকে শিকার করেন তাইজুল।