মানি খন্দকারের কথা ও সুরে খুব শ্রীগ্রই বাজারে আসছে মিউজিক ভিডিও বিবেক ঝানাই

 

স্টাফ রিপোর্টার: আইনপেশাতে নিযুক্ত থেকেও মানবাধিকার কাজের পাশাপাশি গান নিখে চলেছেন মানি খন্দকার। তার পুরোনাম খন্দকার অহিদুল আলম মানি। তিনি অডিও জগতে ও সমাজে মানি খন্দকার নামেই পরিচিত। মানি খন্দকার ২০০১ সালে বাংলাদেশ বেতারে ও ২০০২ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনের গীতিকার হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। বেতার ও টেলিভিশনে তার লেখা গান নিয়মিত সম্প্রচার হয়। এছাড়া তার লেখা ও সুরে ইতঃপূর্বে তিনটি গানের অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। অ্যালবাম তিনটির নাম কষ্টের জনসভা, আযরাঈলের টিকিট কাউন্টার ও বিয়ের ফুল। মানি খন্দকার চুয়াডাঙ্গা জজকোর্টের আইনজীবী। তিনি তিনবার চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতির যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। আইনপেশার পাশাপাশি সামাজিক ও কর্মকাণ্ডে তার সম্পৃক্ততা রয়েছে। তিনি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মানবতা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক। নারী ও শিশু নির্যাতনসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের খবর শোনা মাত্রই কর্মীদের নিয়ে ছুটে যান ঘটনাস্থলে, পাশে দাঁড়ান নির্যাতিতদের। এবার সামাজিক সচেতনা সৃষ্টির লক্ষ্যে তিনি একটি মিউজিক ভিডিও অ্যালবাম তৈরির কাজ হাত দিয়েছেন। নাম দিয়েছেন বিবেক ঝালাই অ্যালবামটির গানের কথা ও সুর করেছেন অ্যাড. মানি খন্দকার। মিউজিক করেছেন চুয়াডাঙ্গার কৃতি সন্তান মিউজিশিয়ান সুর কানন একাডেমির পরিচালক খন্দকার আহসানুল কবিরের ছেলে ঢাকা মিউজিক কলেজের ছাত্র খন্দকার কৌশিক আহমদ অন্তর। ঢাকা খিলক্ষেতে অবস্থিত ত্রিমাত্রা রেকর্ডিং স্টুডিওতে গানের রেকর্ডিং সম্পন্ন হয়েছে। গানে কণ্ঠ দিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা দুই কৃতী তারকাশিল্পী হামিদ ও বিপাশা। স্বাধীনতার মাসেই জি সিরিজ থেকে মিউজিক ভিডিওটি বাজারে আসার কথা রয়েছে। গীতিকার ও সুরকার মানি খন্দকার জানান, যৌতুক, ব্যলবিয়ে অ্যাসিড নিক্ষেপ, ইভটিজিং, নারী ও শিশুপাচার, প্রতিবন্ধীদের অধিকার, লিগ্যাল এইডসহ সমাজের নানা অসঙ্গতি তুলে ধরা হয়েছে এবারের অ্যালবামটিতে। অ্যালবামটি শ্রোতাদের মনকে আকৃষ্ট করবে বলে তিনি আশাবাদী। ঢাকাতে অ্যালবামটি রিলিজ হওয়ার পর চুয়াডাঙ্গাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বিচার বিভাগের বিচারক, আইনজীবী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের উপস্থিত প্রকাশনা উৎসব করার পরিকল্পনা রয়েছে অ্যাড. মানি খন্দকারের।