চুয়াডাঙ্গায় শিক্ষকের থাপ্পড়ে শিশু শিক্ষার্থীর দুটি কানই নষ্ট হওয়ার পথে : লেখাপড়া বন্ধ ফাহিমের : শিক্ষকের শাস্তি দাবি

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় শিক্ষকের থাপ্পড়ে দুটি কানই নষ্ট হয়ে যেতে বসেছে মেধাবী ছাত্র ফাহিমের। কানের চিকিৎসা করাতে গিয়ে তার লেখাপড়াও বন্ধ হয়ে গেছে। ফাহিমের পরিবার এখন কী করবে কোনো দিশা পাচ্ছে না। অভিযুক্ত শিক্ষক খাজা আহমেদও ফাহিমের কোনো খোঁজ রাখেন না। সংবাদ সম্মেলনে ফাহিম হাউমাউ করে কেঁদে তার কানের সুচিকিৎসা দাবি করে। সে আবার আগের মতো সুস্থ হয়ে স্কুলে যেতে চায়। চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার ধোপাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির মেধাবী ছাত্র ফারদিন আহমেদ ফাহিমের (১০) পিতা আরিফ উদ্দিন অভিযুক্ত শিক্ষক খাজা আহমেদের শাস্তি দাবি করেছেন। তবে শিক্ষক খাজা আহমেদ এ জন্য কোনো অনুতাপ করছেন না।

গতকাল বুধবার দুপুরে অসুস্থ ফাহিমকে সাথে নিয়ে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে আসেন। সেখানে সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, ১২ ফেব্রুয়ারি টিফিনের সময় অন্যদের সাথে ফাহিম খেলছিলো। এ সময় কে এক টুকরো ঢিল ছুড়ে মারে। ঢিলের টুকরোটি লাগে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খাজা আহমেদের গায়ে। এতে তিনি ক্ষুব্ধ হন। ঢিল ছোড়ার সন্দেহে তিনি চতুর্থ শ্রেণির মেধাবী ছাত্র ফাহিকের কানচোয়ালে উপর্যুপরি থাপ্পড় মারেন। এতে ফাহিমের কানের পর্দা ফেটে যায়। জরুরিভাবে অসুস্থ অবস্থায় তাকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।

হাসপাতালের ডা. নাজমুল হক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানান, ফাহিম বাম কানে কিছুটা শুনলেও তার ডান কানের অবস্থা খুবই খারাপ। ভবিষ্যতে কানটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা করেন।

ফাহিমের পিতা আরিফ উদ্দীন অভিযোগ করেন, একমাস আগের ওই ঘটনায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসককে জানানো হলেও অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, ‘মারধরের ঘটনা সত্য। এ নিয়ে আমরা কয়েক দফা আলোচনা করেছি। চিকিৎসার খরচও দেয়ার কথা হয়েছে। এরপরেও সংবাদ সম্মেলন করা উচিৎ হয়নি।’ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রমেন্দ্র নাথ পোদ্দার জানান, ‘অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিগগিরই আমি সশরীরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেবো।’