বিচারের দাবিতে আলমডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজে মানবন্ধন

ফলোআপ: আলমডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজছাত্র তাজউদ্দিন নিহত

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত কলেজছাত্র তাজউদ্দিনের হত্যকারী ঘাতক চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্সের ড্রাইভারকে অবিলম্বে গ্রেফতারপূর্বক বিচারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার আলমডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের উদ্যোগে হক ফিলিং স্টেশনের নিকটে চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্সের ধাক্কায় আলমডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী তাজউদ্দিন রিয়েনের মৃত্যুর বিচারেরর দাবিতে মানববন্ধন ও তার আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত তাজউদ্দিন রিয়েনের মা সালমা বেগম, দাদা তাহাজ্জত মোল্লা, দাদী আয়েশা বেগম, ফুফি তহমিনা বেগম, তাসলিমা বেগম, খালা রাবেয়া বেগম, খদেজা বেগম, বোন সুমি খাতুন, আলমডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু হাসান বাচ্চু, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আলহাজ মজিবর রহমান, প্রেসক্লাব সভাপতি হামিদুল ইসলাম আজম, ইলিয়াস হোসেন সিদ্দিকি, সহকারী অধ্যাপক আল মামুন রেজা, গোলাম সরোওয়ার মিঠু, আলম হোসেন, আব্দুল মুনায়েম, সাইদুর রহমান, রাহাত আরা, প্রভাষক মনিরুজ্জামান, মহসিন আলী, তাপস রশীদ, রেজিয়া সুলতানা, গোলাম মোস্তফা, বাসের আলী, হাবিবুর রহমান, মাকসুদুর রহমান, আব্দুল মালেকসহ আলমডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের সকল প্রভাষক-কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ। মানববন্ধন শেষে তাজউদ্দিন রিয়েনের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিলে মোনাজাত পারিচালনা করেন কলেজের প্রভাষক আবুল হাসান।

উল্লেখ্য, আলমডাঙ্গা-চুয়াডাঙ্গা সড়কে হক ফিলিং স্টেশনের নিকট চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্সের ধাক্কায় আলমসাধু চালকসহ ৩ জন নিহত হয়। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স (ঢাকা মেট্টো ব-১১-৯৬৫৩) ৫ মার্চ রোববার সকালে আলমডাঙ্গা হক ফিলিং স্টেশনের নিকট আলমসাধুর পেছন দিকে ধাক্কা দেয়। এসময় আলমসাধু চালক উপজেলার খোরদ গ্রামের মিনাজ উদ্দিনের ছেলে মিনারুল ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়। সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে গুরুত্বর আহত দুজনকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া অজ্ঞাত পরিচয়ের লোকটি মারা যায়। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের এইচএসসি ১ম বর্ষের ছাত্র আশাবুলের ছেলে লিওন আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা গেছে।