জীবননগর তেঁতুলিয়ার ডাকাতি মামলার রায় : ১৪ আসামির কারাদণ্ড ও জরিমানা

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জীবননগরের একটি ডাকাতি মামলায় আদালত ১৪ ব্যক্তিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা এবং প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাস করে সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন। গতকাল সোমবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক মো. রোকনুজ্জামান ১৪ আসামির মধ্যে ১০ জনের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। ৪ আসামি পলাতক রয়েছেন।

দণ্ডিতরা হলেন, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রামের দাউদ হোসেনের ছেলে মিজানুর রহমান, পেয়ারাতলা গ্রামের রফিকের ছেলে মধু, শাখারিয়া গ্রামের মৃত বাবর আলীর ছেলে সিরাজুল ইসলাম, আলম বিশ্বাসের ছেলে সানোয়ার হোসেন ও একই গ্রামের ইয়ারুলের ছেলে সারু, তেঁতুলিয়া গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে আবু বাক্কার বাক্কা, সুটিয়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে আব্দুল খালেক একই গ্রামের আবুল মণ্ডলের ছেলে শরিফুল, বাঁকা আঁশতলাপাড়ার মৃত করিম মণ্ডলের ছেলে আলম হোসেন একই গ্রামের মৃত ফরিদের ছেলে আশাবুল, গোয়ালপাড়ার শহীদের ছেলে ফারুক হোসেন, বাঁকা গ্রামের ইব্রাহীম মণ্ডলের ছেলে শফি ও একই গ্রামের সামসুল মৃধার ছেলে কালু মৃধা এবং মৃগমারী গ্রামের রওশন আলীর ছেলে সাজ্জাদ। দণ্ডিতদের মধ্যে মিজানুর, মধু, আবু বাক্কার ও সিরাজুল পলাতক রয়েছেন।

এদের মধ্যে মিজানুরকে ৭ বছর ও সিরাজুলকে দেড় বছর এবং বাকি ১২ জনের প্রত্যেককে ৩ বছর করে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ১৪ জনের প্রত্যেককে পাঁচহাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০০৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর দিনগত রাতে জীবননগর উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামের ইসমাইল মণ্ডলের বাড়িতে ডাকাতি সংঘটিত হয়। ওই ঘটনায় ইসমাইল মণ্ডল বাদী হয়ে জীবননগর থানায় পরদিন অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।

জীবননগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মঈন উদ্দীন তদন্ত শেষে ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে ২০০৭ সালের ১২ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর একই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুকুল কুমার ঘোষ ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আলোচিত মামলার ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক গতকাল সোমবার রায় ঘোষণা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট বেলাল হোসেন ও অ্যাডভোকেট তালিম হোসেন এবং আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট সেলিম উদ্দিন খান ও অ্যাডভোকেট মারুফ সরোয়ার বাবু।