আন্দুলবাড়িয়ার ডুমুরিয়ায় গ্রাম্য সালিস সভার মাধ্যমে গৃহবধূকে তালাক

 

আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: জীবননগ আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামে এক গৃহবধূকে চরিত্রহীনের অভিযোগ তুলে তার স্বামী তালাক দিয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে আযোজিত গ্রাম্য সালিস সভার মাধ্যমে ওই গৃহবধূকে তালাক দেয়া হয়।

জানা গেছে, ডুমুরিয়া গ্রামের মাঝেরপাড়ার আনছার আলীর ছেলে ৩ সন্তানের জনক শুকুর আলী (৩৮) প্রতিবেশী একরাম আলীর স্ত্রী ১ সন্তানের জননী মিনুয়ারা খাতুনের (২৭) সাথে পারকীয় সর্ম্পক গড়ে তোলেন।

জানা গেছে, গত রোববার রাতে গ্রামে ইসলামিসভা চলছিলো। সভায় একরাম আলী তার স্ত্রীকে সাথে নিয়ে সভা অনুষ্ঠানে অবস্থান করছিলো। সভায় অবস্থান করাকালে রাত সাড়ে ১০টার দিকে শুকুর আলী মোবাইলফোনে ওই গৃহবধূকে ডেকে নেয়। গৃহবধূ প্রেমিকের ডাকে সাড়া দিয়ে বাড়ির বাথরুমের পাশে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়। এ সময় ওই গৃহবধূর ভাসুর জাকার আলী তাদের হাতেনাতে আটক করে। শুকুর আলীকে ধোলায় দেয়াকালে সে কৌশলে পালিয়ে আত্মগোপন করে। ঘটনাটি গ্রামে শোরগোল হয়ে পড়লে গৃহবধূর স্বামী গ্রাম্য সালিস সভায় তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ তুলে নালিশ করেন। গতকাল সোমবার বিকেলে ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে গ্রামে সালিসসভা অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষ্য প্রমাণে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গৃহবধূর স্বামী দুশচরিত্র অভিযোগে তার স্ত্রীকে তালাক দেন।

এদিকে একটি সংসার ভেঙে দেয়ার অপরাধে শুকুর আলীর শাস্তির দাবি উঠেছে।

সূত্র জানান, গ্রাম্য কতিপয় মাতুব্বর মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে শুকুর আলীকে বাঁচানোর অপচেষ্টা করছেন। সুবিধাভোগীরা টাকা নিয়ে তাকে আত্মগোপনে থাকার পরার্মশ দিয়েছেন। তালাকপ্রাপ্ত গৃহবধূ গতকাল কান্নাকাটি করতে করতে গ্রাম ছেড়ে আকুন্দবাড়িয়া গ্রামে পিতার বাড়িতে চলে যান। এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য মোছাদ্দেক হোসেনের নিকট কতিপয় মাতুব্বরের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে শুকুর আলীকে রক্ষা করার অভিযোগের সত্যতা জানতে চাইলে তিনি মিথ্যা বলে দাবি করেন।

সূত্র জানায়, বিয়ে না করলে আজ গৃহবধূ শুকুর আলীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করতে পারেন।