মাথাভাঙ্গা থেকে অবৈধ কোমর বাঁধ ও পাটাতন অপসারণের উদ্যোগ চুয়াডাঙ্গায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার প্রধান নদী মাথাভাঙ্গা থেকে অবৈধ কোমর বাঁধ ও পাটাতন অপসারণের উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। গতকাল রোববার সদর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে  বেলা ১১টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত মাইকিং করা হয়েছে।

জেলা তথ্য অফিসের সহযোগিতায় ও গাড়িতে মাইকিংকালে বলা হয়, ‘সর্বসাধারণকে জানানো যাচ্ছে যে, সেসব ব্যক্তি মাথাভাঙ্গা নদীতে অবৈধভাবে কোমর বাঁধ, আড়াআড়ি বাঁধ, জংলা ও বাঁশের পাটাতন তৈরি করে মাছ শিকার করছে, তাদেরকে আগামী ১৮ মার্চ শনিবারের মধ্যে এসব অবৈধ স্থাপনা অপসারণের জন্য বলা হলো।’ তথ্য অফিসের ফারুক  হোসেন ও সদর উপজেলা মৎস্য অফিসের ক্ষেত্র সহকারী আবুল কালাম আজাদ মাইকিং করেন।

ওই দুজন জানান, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বড়বাজার, হাটকালুগঞ্জ, ভিমরুল্লাহ, তালতলা ও  হাজরাহাটি এবং সদর উপজেলার বোয়ালমারী এলাকায় মাইকিং করা হয়। একই সাথে চুয়াডাঙ্গা মৎস্য অধিদফতরের উদ্যোগে জাটকা নিধন বন্ধে মাইকিং করা হয়।

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটবোয়ালিয়া থেকে শুরু করে দামুড়হুদা উপজেলার জয়নগর পর্যন্ত মাথাভাঙ্গা নদীতে অসংখ্য কোমর বাঁধ, আড়াআড়ি বাঁধ, জংলা ও বাঁশের পাটাতন রয়েছে।

কর্মকর্তারা জানান, মাথাভাঙ্গা নদীকে জঞ্জালমুক্ত করে নদীর প্রবাহ চালু করতে প্রশাসনের এই উদ্যোগে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস এই প্রতিনিধিকে জানান, মাথাভাঙ্গা নদী থেকে অবৈধ কোমর ও পাটাতন উচ্ছেদের জন্য সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মাথাভাঙ্গা এ অঞ্চলের প্রধান নদী। এই নদীকে বাঁচাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সবকিছু করা হবে।