বাসের ধাক্কায় নিহত ৩ জনের রক্তের দাগ শুকোতে না শুকোতে প্রায় একই স্থানে আবারও সড়ক দুর্ঘটনা

ট্রাকের ধাক্কায় ২ ট্রলিচালকসহ ৩ জন গুরুতর জখম
আলমডাঙ্গা ব্যুরো: বাসের ধাক্কায় নিহত ৩ জনের রক্তের দাগ শুকোতে না শুকোতে প্রায় একই স্থানে এবার ট্রাকের ধাক্কায় ২ টলিচালকসহ ৩ জন রক্তাক্ত জখম হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত ৩ জনের মধ্যে ১ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
জানা গেছে, কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার আমলা সদরপুরের জহুরুল ইসলামের ছেলে পাটকাঠি ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম (৪৪)। তিনি গত বুধবার ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার পানতা ইউনিয়নে পাটকাঠি কিনতে যান। সারাদিন পাঠকাঠি কিনে মহেশপুরের কাতলেডাঙ্গা গ্রামের দিদার ম-লের ছেলে সানোয়ার হোসেন (৪৩) ও পার্শ্ববর্তী খড়কি গ্রামের রফজেল আলীর ছেলে আশাদুল ইসলামের (৪৫) টলিতে করে পাটকাঠি নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তাদের দুটি টলি যখন চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা সড়কের ব-বিল রেলগেটের মোড় ছাড়িয়ে গোরস্তান পর্যন্ত পৌছায়, ঠিক তখনই বিপরীত দিক থেকে দ্রুত গতিতে ছুটে আসা একটি বালিভর্তি ট্রাক (তালেব এন্টার প্রাইজ ঢাকা মেট্রো ট ২০-০০৪০) পাটকাঠিভর্তি প্রথম টলির সামনাসামনি প্রচ- জোরে ধাক্কা লাগায়। এতে সড়ক থেকে নিচে ছিটকে পড়ে ট্রলিটি। ড্রাইভার ও পাটকাঠি মালিক দুজনই ট্রলি থেকে আছড়ে পড়েন সড়কের ওপর। প্রথম টলির পর ২য় টলিটিকে সজোরে ধাক্কা দিলে সেটিও সড়কের ওপরই পাক খেয়ে ঘুরে যায়। যথারীতি ছিটকে পড়েন এই ট্রলির ড্রাইভারও। এরপর বেপরোয়া ট্রাকটি সড়কের পাশের একটি গাছের সাথে ধাক্কা লাগায়। নিকটবর্তী পথচারীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছুনোর পূর্বেই ঘাতক ট্রাকের ড্রাইভার পালিয়ে যায়। তবে ড্রাইভারের পরিচয় পাওয়া গেছে। সংবাদ পেয়ে আলমডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি রক্তাক্ত অবস্থায় আহতদের তুলে নিয়ে দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে টলিচালক আশাদুল ইসলামের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার করা হয়।
গত ৫ মার্চ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে প্রায় একই স্থানে একটি বাসের ধাক্কায় আলমসাধুর চালকসহ ৩ জন নিহত হন। এখনও তাদের রক্তের দাগ মুছেনি। মাত্র ৪ দিন পার হতে না হতেই একই স্থানে আবারও সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জন মারাত্মক জখম হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়ছেন।
এই ট্রাকের চালক ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার ভাঁটুইবাজারের গাবলা নামক গ্রামের সরোয়ার ম-লের ছেলে সোহেল পারভেজ। ড্রাইভার পালিয়ে গেলেও গাড়িতে তার ড্রাইভিং লাইসেন্সটি পড়ে ছিলো। অনেকেই ধারণা করছেন- ট্রাক চালানোর সময় হয়তো ড্রাইভার ঘুমিয়ে পড়েছিলেন।