লঙ্কানদের ভালো জবাব দিচ্ছে বাংলাদেশ

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: গল টেস্টের লঙ্কানদের ভালোই জবাব দিচ্ছে বাংলাদেশ। লঙ্কানদের ৪৯৪ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৩৩ রান। হারাতে হয়েছে দুই উইকেট। প্রথম ইনিংসে দুই টাইগার ওপেনার তামিম ইকবাল এবং সৌম্য সরকার মিলে শতাধিক রানের জুটি উপহার দিয়েছেন। এটি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটি ও যেকোন দেশের বিপক্ষে তৃতীয় সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটি। দুজনেই হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেছেন। প্রথমে তামিম এগিয়ে গেলেও হাফ সেঞ্চুরির দৌঁড়ে তাকে পেছনে ফেলেন সৌম্য। স্বপ্নে মতোই দিনটা কাটছিল টাইগারদের। কিন্তু তামিম অদ্ভুতভাবে রানআউট হয়ে গেলে ভেঙে যায় ওপেনিং জুটি। এরপর মমিনুলও ফিরে যান দ্রুত। সৌম্য ১৩৩ বলে ৬৬ এবং মুশফিক ১৪ বলে ১ রানে অপরাজিত আছেন। স্বাগতিকদের চেয়ে টাইগররা এখনও ৩৬১ রানে পিছিয়ে। ইনিংসের শুরুতে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যাওয়া সৌম্য সরকার ৮৬ বলে ৫টি চার এবং ১টি দর্শনীয় ছক্কায় হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন। ব্যক্তিগত ৪ রানে লাকমলের বলে সহজ ক্যাচ দিলেও পেরেরার কল্যাণে বেঁচে যান তিনি। সুযোগটা আর মিস করেননি। এটি তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট হাফ সেঞ্চুরি। সৌম্যর পর দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবালও ৯৩ বলে টেস্ট ক্যারিয়ারের ২১তম হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন। তিনি এই মাইলফলকে পৌঁছুতে ৬টি চার মারেন। কিন্তু সান্দাকানের বলটিতেই খামখেয়ালিভাবে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হন তামিম। সান্দাকানের বলটি তামিমের ব্যাট স্পর্শ না করে উইকেটকিপারের কাছে যায়। কট বিহাইন্ডের আবেদন হয়। এর মাঝেই অন্যমনস্কভাবে শাদা দাগের বাইরে চলে আসেন তামিম। সুযোগটা মোটেও মিস করেননি উইকেটকিপার ডিকাভিলা। সোজা বল লাগিয়ে দেন স্ট্যাম্পে। ১১২ বলে ৫৭ রানের দারুণ এবং সম্ভাবনাময় এক ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তামিম। ১১৮ রানে প্রথম উইকেটের পতন ঘটল বাংলাদেশের। এর আগে ব্যক্তিগত ২৮ রানে একবার জীবন পেয়েছিলেন তামিম।

তামিমর বিদায়ের পর উইকেটে আসেন টেস্ট স্পেশালিস্ট খ্যাত মমিনুল হক। তাকে উইকেটে খুব সহজ মনে হচ্ছিল না। তবে একপর্যায়ে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সব দুশ্চিন্তা সীমানার বাইরে পাঠানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১৭ বলে ৭ রানেই থামতে হয় তাকে। দিলরুয়ান পেরেরা বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে ফিরেন তিনি। ১২৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে কুশল মেন্ডিসের ১৯৪ রান, গুণারত্নের ৮৫ এবং ডিকাভিলার ৭৫ রানে ভর করে ৪৯৪ রানের বিশাল স্কোর গড়ে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন তরুণ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। ২ উইকেট নেনে ইনজুরি থেকে ফিরে প্রথম টেস্ট খেলতে নামা মুস্তাফিজুর রহমান।