মাদক ও জঙ্গিবাদ বিরোধী সমাবেশ সফল হোক

চুয়াডাঙ্গায় আজ মাদক ও জঙ্গিবাদ বিরোদী মহাসমাবেশ। জেলা কমিউনিটি পুলিশিং সমন্বয় কমিটি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি  মো. মনিরুজ্জামান পিপিএম বিপিএম। সকল সাড়ে ৯টায় শোভাযাত্রা পূর্ব সমাবেশ শহীদ হাসান চত্বরে। সেখান থেকে মাদক ও জঙ্গিবাদ বিরোধী সচেতনতার আলো ছড়িয়ে শোভাযাত্রা যোগ দেবে সরকারি কলেজ চত্বরের মহাসমাবেশে। এ সমাবেশে সকলকে অংশ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

দেশে যখন উঠতি বয়সী তথা কিশোর কিশোরীদের গ্রাস করছে মাদক, তখন মাদক বিরোধী মহাসমাবেশ অতীব গুরুত্বপূর্ণ। একই সাথে জঙ্গিবাদ বিরোধী সচেতনতাও জরুরি। সারাদেশেই পুলিশ কমিউনিটি পুলিশিং সমন্বয় কমিটির সহযোগিতায় মাদক বিরোধী জোরদার আভিযান অব্যাহত রয়েছে। আভিযানের পাশাপাশি আত্মসমর্পণের আহ্বানও জানানো হয়। চুয়াডাঙ্গায় গত ২ মার্চের মধ্যে সকল মাদক কারবারিকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানান জেলার পুলিশ সুপার (ভারপ্রাপ্ত) বেলায়েত হোসেন। এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে প্রায় ৫শ’ মাদককারবারি আত্মসমর্পন করেছে। গ্রেফতারের সংখ্যাও কম নয়। অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এর মাঝে আজকের মহাসমাবেশ সমাজকে মাদকের বিরুদ্ধে সচেতন করতে কিছুটা সহায়ক হলেও আয়োজন সার্থক হবে। নতুন করে বলার অবকাশ রাখে না যে, এক শ্রেণির কিশোর-কিশোরী যেভাবে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে এবং সহিংস আচরণ করছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আমরা রাজধানীর এক পুলিশ কর্মকর্তার মাদকাসক্ত মেয়ে ঐশীর নৃশংসতার কথা জানি। অভিন্ন ঘটনা একের পর এক ঘটেই চলেছে। একটি সাজানো পরিবারে একজন মাদকাসক্ত হয়ে পড়লে পুরোপরিবারই ধ্বংসের দিকে ধাবিত হয়। যে সমাজে মাদকাসক্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে সেই সমাজ থেকে উবে যায় শান্তি, সম্প্রীতি। মাদক, সন্ত্রাস ও চোরাচালান মূলত একই সুতোই গাঁথা। অর্থলিপ্সু এক শ্রেণির অসাধু মানুষ অর্থের লোভে মাদক পাচার করে সমাজে ছড়িয়ে দেয়। পাচারকাজে তারা ব্যবহার করে সমাজের নি¤œবৃত্ত পরিবারের নারী পুরুষ শিশু কিশোর। এরা সমাজে মাদক সহজলভ্য করে তোলে। যার কবলে পড়ে উঠতি বয়সী থেকে শুরু করে সব শ্রেণির নারী পুরুষ। আর জঙ্গি? চক্রান্তকারীদেরই ষড়যন্ত্রে মূলত সরল সোজা উঠতি বয়সীদের ধর্মের অপব্যাখ্যায় বিপথগামী করে তোলে।

মাদকাসক্তি থেকে সমাজের উঠতি বয়সীসহ সকলকেই রক্ষা করতে দরকার মাদক বিরোধী লাগাতার অভিযান। সেটা শুরু হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি সুস্থ ধারার বিনোদন ও পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের জোগানের বিষয়টি সরকারের নীতি নির্ধারকদেরই বেশি বেশি করে ভাবতে হবে। জঙ্গিবাদ রুখতে ধর্মের প্রকৃত ব্যাখ্যাসহ সচেতনতার আলো ছড়াতে হবে। পুলিশ ও কমিউনিটি পুলিশিং সমন্বয় কমিটি সেটাই শুরু করেছে। সফল হোক উদ্যোগ।