কুল দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রথম শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণ?

স্টাফ রিপোর্টার: প্রথম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। এ মর্মে অভিযোগ উত্থাপনের পর গ্রামে সালিসও বসে। তা ভেস্তে যাওয়ার পর ঘটনার দু সপ্তাহের মাথায় স্কুলছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চলছে মামলার জোর প্রস্তুতি। লোকমোর্চাও আইনগত সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়নের জোড়গাছা গ্রামের খাইরুল ইসলামের ছেলে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র সোহাগ হোসেন। সে প্রতিবেশী ভাইয়ের মেয়ে প্রথম শ্রেণির ছাত্রীকে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ধর্ষণ করে। গতপরশু ৪ মার্চ শনিবার সন্ধ্যায় স্কুলছাত্রীকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই স্কুলছাত্রীর মা জানান, বিষয়টি জানার পর থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম কিন্তু গ্রামের কয়েকজন সালিসে সমাধান দেয়ার আশ্বাস দেয়। কিন্তু মেয়ে অবস্থা দিন দিন অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তাই হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার লোকমোর্চার নেতৃবৃন্দ গতকাল রোববার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে বিষয়টি জানতে পেরে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তা দেয়া আশ্বাস দিয়েছে। সদর উপজেলা লোকমোর্চার সভাপতি সহিদুল হক বিশ্বাস জানান, আমরা একটি নির্যাতনের শিকার গৃহবধূর খোঁজখবর নিতে এসেছিলাম। পাশের বেডে একটি ৭-৮ বছরের শিশুকে দেখে জানতে চেয়েছিলাম শিশুর কি হয়েছে। শিশুটির পরিবারের লোকজন প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে জানায় শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ সময় সদর লোক মোর্চার সাধারণ সম্পাদক পারভীন লায়লা, সহসভাপতি শাহানা ইউসুফ কেয়া, যুগ্মসম্পাদক অ্যাড. আহসান আলী, নির্বাহী সদস্য মফিজুর রহমান মনা, সদস্য ফিরোজ আল মামুন ও সদস্য সচিব কানিজ সুলতানা উপস্থিত ছিলেন।