সাংবাদিক মামুনের ওপর হামলা ॥ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন : দর্শনা প্রেসক্লাবে জরুরি বৈঠক ॥ আজ মামলা

 

 

দর্শনা অফিস: স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকার দর্শনা ব্যুরো প্রধান, দর্শনা প্রেসক্লাবের যুগ্মসম্পাদক আহসান হাবীব মামুনের ওপর হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। সন্ত্রাসী বেধড়কভাবে মারধর করেছে মামুনকে। মুমূর্ষু অবস্থায় মামুনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। দর্শনা প্রেসক্লাবে জরুরি বৈঠকে প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করা হয়েছে। গ্রহণ করা হয়েছে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত। দর্শনার পার্শ্ববর্তী আকন্দবাড়িয়া নতুনপাড়ার লাল্টুর বাড়িতে বেড়াতে আসেন তার স্ব-স্ত্রীক সেনা সদস্য শ্যালক। গতপরশু বুধবার রাত ১টার দিকে ওই গ্রামেরই বিল্লাল ও হামিদুল নামের ২ বকাটে যুবক দলবল নিয়ে লাল্টুর বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায়। এ সময় লাল্টু ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মমতাজ বেগম এগিয়ে এসে আত্মীয়ের পরিচয় দিলেও হয়নি রক্ষা। এ সময় হামলাকারীরা লাল্টু, স্ত্রী মমতাজ, শ্যালক সেনা সদস্য রফিকুল ও তার স্ত্রী সুমি খাতুনকে মারধর করে। হামলাকারীরা নিজের দোষ ঢাকতে বেগমপুর পুলিশ ও সাংবাদিক মামুনকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘটনার সত্যতা না পেয়ে হামলাকারীদের ওপর চড়াও হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয় হামলাকারীরা। এরই জের ধরে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে হামিদুল, বিল্লাল, রহমানসহ ৮-১০ দর্শনা রেল ইয়ার্ড চত্বরে সাংবাদিক মামুনের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা মামুনকে বেধড়কভাবে পিটিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা মামুনকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে গতকালই সন্ধ্যায় দর্শনা প্রেসক্লাবে জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত মোতাবেক মামুনের ওপর হামলার সাথে জড়িত আকন্দবাড়িয়া নতুনপাড়ার হামজার ছেলে হামিদুল, জব্বারের ছেলে বিল্লালসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। আজ শুক্রবার দামুড়হুদা থানায় এ মামলা দায়ের করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন দর্শনা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল হক পিপুল। পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন। এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন বলেছেন, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।