মাথাভাঙ্গা মনিটর: খুব একটা খ্যাতি এতো দিন ছিলো না তার ভাগ্যে। কিন্তু ভাগ্য বদলে দিলো একটা ছবি—মুনলাইট। পেয়ে গেলেন অস্কারের শ্রেষ্ঠ সহঅভিনেতার পুরস্কার। তিনি মাহেরশালা আলী। কিন্তু এই আলীই একসময় ডুবে গিয়েছিলেন গভীর হতাশায়। আলীর তিন বছর বয়সে তার বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। তিনি অস্কার পাওয়ার পর বলেছেন, আমার ভেতর প্রচণ্ড দুঃখ, হতাশা কাজ করেছিলো। সেটা সব সময় আমার সঙ্গী হয়ে রয়েছে। তবু মায়ের দুঃখটাকে সামাল দিতে নিজের মনকে শান্ত করেছিলেন শিশু আলী। বয়স যখন ৯/১০ বছর তখন তার মা আবার বিয়ে করেন। সৎ বাবার সাথে খুব একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিলো না তার। নিজের বাবাকে সব সময়ের জন্য কাছে পাওয়ার আকুল আকাঙ্ক্ষা লেগেই থাকতো। এ সবকিছুই তাঁকে ভাবাতো। ইনসমনিয়ায় ভুগেছেন। সারা রাত না ঘুমিয়ে কাটিয়েছেন। আর তখনই প্রথম প্রেমে পড়েছেন শিল্পের। সারা রাত বসে কবিতা লিখতেন। বাবা-মাকে অনেক ভালোবাসেন আলী। বাবা বেঁচে নেই। মঞ্চে অভিনয় করতেন তিনি। আলীর গর্ব, বাবার মতো কিছু একটা করতে পারছেন অভিনয়ে এসে। ব্যাপ্টিস্ট পরিবারের জন্ম হওয়া মাহেরশালা আলী ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন। আর তিনিই প্রথম মুসলিম অভিনেতা যিনি অস্কার পুরস্কারে সম্মানিত হলেন।