ঝিনাইদহের বঙ্কিরা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ক্লোজড

 

স্টাফ রিপোর্টার: ফেনসিডিল, দুই মাদক চোরাচালানিসহ বহনকরা প্রাইভেটকার আটক করার পরও অর্থের বিনিময়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটি ইউনিয়নের বঙ্কিরা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এএসআই তুহিনকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে বলে গুঞ্জন রটেছে। গত বৃহস্পতিবার দিন গতরাত সাড়ে ৯টার মাদক, দু চোরাচালানি এবং বহনকারী গাড়িটি ছেড়ে দেয়ার পর রাতেই তাকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, এমন একটা ঘটনা শুনেছি তবে কতোটা সত্য তা আমার জানা নেই। তবে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ বলেন, ফেনসিডিলসহ দুজনকে গ্রেফতারের পর মামলা হয়েছে। তবে বঙ্কিরা পুলিশ ক্যাম্পে এমন ঘটনা ঘটেছে আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিচ্ছেন বলে তিনি জানান।

অভিযোগে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার নস্তিপুর গ্রামের ওয়াসিম (৩০) ও জাকির (২৮) ৪শ ৮১ বতল ফেনসিডিল প্রাইভেটকারে (ঢাকা-মেট্টো-ন-১৫-৫১২) দর্শনা থেকে বিশেষ কায়দায় বোঝাই করে গোপালগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেয়। এরই মধ্যে মাদক চোরাচালানির খবর পৌঁছে যায় ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বঙ্কিরা পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এএসআই তুহিনের নিকট। তিনি গোপন মাধ্যমে এ খবর পেয়ে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মাদকের চালান ধরার জন্য রওনা দেন। প্রাইভেটকারটি বাজারগোপালপুর-খাড়াগোদা সড়কের গোবিন্দপুর গ্রামের মাঠের নিকট রাত সাড়ে ৯টার দিকে পৌঁছুলে গতিরোধ করেন। সে সময় প্রাইভেটকারটি তল্লাশি করে ফেনসিডিলের পান। কিন্তু তিনি তা জব্দ না করে ৩০ বতল ফেনসিডিল এবং নগদ আড়াই লাখ টাকা নিয়ে ছেড়ে দেন বলে অভিযোগ ওঠে। রাতে বাজারগোপালপুর পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা টহল দিচ্ছিল উক্ত প্রাইভেটকারটি বাজার গোপালপুর-হলিধানি সড়কের বাজারগোপালপুর-মহামায়া মাঠের মধ্যে পৌছুলে টহলদল প্রাইভেটকারটির (ঢাকা-মেট্টো-ন-১৫-৫১২) গতিরোধ করে। এ সময় গাড়িতে থাকা দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদে সন্দেহ আচর করলে গাড়িটি তল্লাশি করে ৪৫১ বতল ফেনসিডিল পান। সে সময় দু চোরাচালানি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে গ্রেফতার করে সদর থানায় পাঠান। গ্রেফতারকৃত দু চোরাচালানি প্রাথমিক জিঞ্জাসাবাদে বঙ্কিরা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এএসআই তুহিনকে নগদ আড়াই লাখ টাকা ও ৩০ বোতল ফেনসিডিল দেয়ার কথা স্বীকার করেন বলে জানা গেছে। ফলে রাতেই এএসআই তুহিনকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয় বলে গুঞ্জন রটেছে। বিষয়টি এখন এলাকাবাসীর মুখে মুখে। বঙ্কিরা ও পার্শ্ববর্তী চায়ের দোকানগুলোতে গল্পের খোরাক জোগাচ্ছে। চলছে তীব্র আলোচনা-সমালোচনা। তবে যেহেতু অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে তাই মাদকবিরোধী অভিযানকে চাঙ্গা করতে আরো তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি তুলেছে এলাকাবাসী। এ বিষয়ে অভিযুক্ত এএসআই তুহিনের বক্তব্য জানার জন্য যোগাযোগ করেও তাকে না পাওয়াইয়য়য়য় তার মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

ঝিনাইদহ সদর থানার তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরেন্দ্রনাথ সরকারের নিকট যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এমন একটা ঘটনা শুনেছি তবে কতোটা সত্য তা জানা নেই। ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ বলেন, ফেনসিডিলসহ দুজনকে গ্রেফতারের পর মামলা হয়েছে। তবে বঙ্কিরা পুলিশ ক্যাম্পে এমন ঘটনা ঘটেছে আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিচ্ছেন বলে তিনি জানান।