অসি স্পিন বিষে আড়াই দিনেই টেস্ট হারলো ইন্ডিয়া

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ঘরের মাটিতে বেশ কিছুদিন ধরেই অজেয় ভারত। অপরাজিত ছিলো টানা ১৯টি ম্যাচ। বিরাট কোহলির নেতৃত্বে টানা ছয়টি টেস্ট সিরিজ জয়ের নতুন রেকর্ড গড়েছিলো ভারত। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে প্রায় সবাই ভারতের গায়েই সেঁটে দিয়েছিলেন ফেভারিটের তকমা। কিন্তু উড়তে থাকা সেই ভারতকে একটানে মাটিতে নামিয়ে আনলো স্টিভেন স্মিথের দল। ভারতের পাতা ফাঁদেই অসি স্পিন বিষে নীল ইন্ডিয়া। মাত্র আড়াই দিনে পুনে টেস্ট হারলো ৩৩৩ রানের বিশাল ব্যাবধানে। জয়ের মধ্যদিয়ে ভারত সফরের শুরুটা করলো দারুণভাবে। ভারতের মাটিতে অস্ট্রেলিয়া শেষবারের মতো টেস্ট জয়ের স্বাদ পেয়েছিলো ২০০৪ সালে। তারপর টানা ১১টি ম্যাচে ভারত ছিলো অপরাজিত। সর্বশেষ সাতটি মুখোমুখি লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ছিলো ভারত। তবে এক যুগেরও বেশি সময় পর অবশেষে ভারতের মাটিতে ভারত বধ করতে পারলো অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ইনিংসে ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়ের শিকার হয়ে ভারত গুটিয়ে গিয়েছিলো মাত্র ১০৫ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসেও দেখা গেল একই চিত্র। এবার ভারতের স্কোরবোর্ডে জমা হয়েছে ১০৭ রান। প্রথম ইনিংসে ছয় উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ছয় উইকেট শিকার করেছেন বাঁ-হাতি স্পিনার স্টিভ ও’কিফ। এটাই ভারতের মাটিতে বিদেশি কোনো স্পিনারের সেরা বোলিং ফিগার। দুই ইনিংস মিলিয়ে পাঁচটি উইকেট নিয়েছেন আরেক স্পিনার নাথান লায়ন। ভারতের মাটিতে সফরাকারী দলের কোন বোলারের সেরা সাফল্য হল ইয়ান বোথামের, ম্যাচে ১০৬ রানে ১৩ উইকেট নিয়েছিলেন। ও’কিফ যোকোন সময় সেই রেকর্ড ভেঙে দিতে পারে বলেও ম্যাচ চলাকালে বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করেছিলো। সেটা হয়নি সতীর্থ নাথান লায়নের জন্য। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি ৪ উইকেট শিকার করে নেন। প্রথম ইনিংসে ১৫৫ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং শুরু করেছিলো অস্ট্রেলিয়া। স্টিভেন স্মিথের দারুণ শতকে দ্বিতীয় ইনিংসে সংগ্রহ করেছিল ২৮৫ রান। ফলে ভারতের সামনে দাঁড়িয়েছিলো ৪৪১ রানের বিশাল লক্ষ্য।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে অসি অধিনায়ক স্মিথের করা ১০৯ রানই পেরোতে পারেনি ভারত। গুটিয়ে গেছে মাত্র ১০৭ রানে। ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩১ রানের ইনিংসটি এসেছে চেতেশ্বর পূজারার ব্যাট থেকে। ১৮ ও ১৩ রানের ছোট দুটি ইনিংস খেলেছেন অজিঙ্কা রাহানে ও অধিনায়ক বিরাট কোহলি। দুই ইনিংসে ৭০ রানে ১২ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন স্টিভ ও’কিফ।