স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় মাদকব্যবসায়ীদের হালনাগাদ তথ্যে শীর্ষে রয়েছে বেগমপুর ইউনিয়নের আকন্দবাড়িয়া গ্রাম এবং দ্বিতীয় শীর্ষে আলুকদিয়া ইউনিয়নের দৌলতদিয়াড় গ্রাম। সদর উপজেলায় মাদকব্যবসায়ী রয়েছে ২০৩ জন। এদের মধ্যে ফেনসিডিল ও গাঁজা ব্যবসায়ীর নাম থাকলেও তালিকায় নেই ইয়াবা ও মদব্যবসায়ীদের নাম। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার হালনাগাদ নামের তালিকা থেকে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের ২২টি গ্রামে এবং চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ৩০টি মহল্লায় নারী-পুরুষ মাদকব্যবসায়ীর সংখ্যা ২০৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৭৮ জন এবং নারী ২৫ জন। এদের মধ্যে গাঁজা ব্যবসায়ী ৩৪ জন এবং ফেনসিডিল ব্যবসায়ী ২৯ জন। বর্তমানে মাদকব্যবসা করছে ১৭৫ জন এবং নিষ্ক্রীয় রয়েছে ১৭ জন। বর্তমানে কারাগারে বন্দী রয়েছে ১০ জন। বেগমপুর ইউনিয়নের আকন্দবাড়িয়া গ্রামের নামের তালিকায় রয়েছে ৫৩ জনের। দ্বিতীয় শীর্ষে রয়েছে দৌলতদিয়াড় গ্রামের ১৯ জন।
চুয়াডাঙ্গা পৌর এলকার সাতগাড়ি, বুজরুকগড়গড়ি, নূরনগর কলোনি, পোস্টঅফিসপাড়া, মাস্টারপাড়া, বড়বাজারপাড়া, শান্তিপাড়া, হকপাড়া, কেদারগঞ্জপাড়া, জিনতলা মল্লিকপাড়া, হাটকালুগঞ্জ, ইসলামপাড়া, তালতলা, বনানীপাড়া, মুন্সিপাড়া, মুক্তিপাড়া, ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ডপাড়া, গুলশানপাড়া, বাগানপাড়া, মুসলিমপাড়া, থানা কাউন্সিলপাড়া, বেলগাছি রেলগেট, পৌর কলেজপাড়া, জীবননগর বাসস্ট্যান্ডপাড়া, বুজরুকগড়গড়ি বুদ্ধিমানপাড়া ও মাদরাসাপাড়া, ফার্মপাড়া, মসজিদপাড়া, পুরাতন হাসপাতালপাড়া ও শ্মশানপাড়ায় মাদকব্যবসায়ীরা ব্যবসা করছে। সদর উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের ২২টি গ্রামে মাদকব্যবসায়ীরা ব্যবসা করছে। এর মধ্যে হুচুকপাড়া, গাড়াবাড়িয়া, হানুরবাড়াদী, সরিষাডাঙ্গা, পিরোজখালী, ডিহিকেষ্টপুর, ৬২ আড়িয়া, বলদিয়া, আকন্দবাড়িয়া, রাঙ্গিয়ারপোতা, রতিরামপুর, জীবনা, মাখালডাঙ্গা, দীননাথপুর, বোয়ালমারী, বেগমপুর, খাড়াগোদা, ছোটশলুয়া, নতুন ভাণ্ডারদহ, যুগিরহুদা, আলুকদিয়া ও সরোজগঞ্জ বাজার রয়েছে। বর্তমানে কারাগারে রয়েছে- দৌলতদিয়াড় চুনরীপাড়ার আসাদুল হক মিন্টু, মো. রফিক, আরজ আলী ও মোমিন আলী, শান্তিপাড়ার রুহুল আমিন, কেদারগঞ্জের ফারুক হোসেন, বুদ্ধিমানপাড়ার শিপরা বেগম ও বাবুল হোসেন, হকপাড়ার মো. ফজলু ও জিনতলাপাড়ার আসলাম আলী ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোজাম্মেল হক জানান, মাদকদ্রব্য বিরোধী অভিযান সবসময়ই চালু রয়েছে। মাদকব্যবসায়ীরা পুলিশের অভিযানে প্রায়ই ধরা পড়ছে। যারা বাইরে রয়েছে তাদেরকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মাদকের বিষয়ে কোনো কম্প্রোমাইজ নেই।