দৌলতপুরে গোপন টেন্ডারে ২৮ লাখ টাকার কাজ ভাগাভাগির অভিযোগ

 

দৌলতপুর সংবাদদাতা: কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে গোপন টেন্ডার প্রক্রিয়ায় প্রায় ২৮ লাখ টাকা মূল্যের ৭টি কাজ ভাগাভাগি করে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে দুটি কাজ উপজেলা প্রকৌশলী নিজে নিয়েছেন বলে জানা গেছে। টেন্ডারের বিজ্ঞপ্তি থেকে শুরু করে নোটিশ টানানোসহ সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে  গোপনে। ফলে মনোনীত ঠিকাদার ছাড়া অন্য কোনো ঠিকাদার সিডিউল ক্রয় ও টেন্ডারে অংশনিতে পারেনি। এ নিয়ে সাধারণ ঠিকাদাররা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ঠিকাদাররা এই টেন্ডার বাতিল করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

জানা যায়, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের উপজেলা পরিষদ উন্নয়ন তহবিলের আওতাধীন মথুরাপুর ইউনিয়নে হোসেনাবাদ হাইস্কুলে পানি সাপ¬ায়ের ড্রেন নির্মাণ, মরিচা ইউনিয়নে ইউনাইটেড কলেজের নিকটে কালভার্ট নির্মাণ, খলিশাকু-ি ইউনিয়নে শ্যামপুর মাদরাসার উন্নয়ন, আদাবাড়িয়া মোড়ে কালভার্ট নির্মাণ, শেখপাড়া-ডাংমড়কা রোডে গাইড ওয়াল নির্মাণ, কামালপুর বাজারে ল্যাট্রিন নির্মাণ, প্রাগপুর ইউনিয়নে শ্যালো টিউবয়েল স্থাপন, হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের সোনাইকু-ি বাজারে টয়লেটে টাইল্স ও পানির পাম্প লাগানো ও দৌলতপুর ভবনের মেরামতের জন্য ৭টি কাজের টেন্ডার আহ্বানের সিদ্ধান্ত হলে টেন্ডারটি উন্মুক্ত না করে অত্যন্ত গোপনে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি নোটিশবোর্ডে টানানোর কথা থাকলেও তা করা হয়নি। ফলে, সে সব ঠিকাদার কাজ ভাগাভাগি করে নিয়েছেন তারা ছাড়া অন্য কোনো ঠিকাদারদের বিষয়টি বুঝতে দেয়া হয়নি।

প্রকৃত ঠিকাদারগণ অভিযোগ করে বলেন, কেউ সিডিউল ক্রয় করতে যেন না পারে তার জন্য পুরো প্রক্রিয়াটি গোপন রাখা হয়েছিলো। খাতা কলমে যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাজ দেয়া হয়েছে দেখানো হলেও বাস্তবে তা হয়নি বলে তারা জানিয়েছেন। তারা আরও জানায়, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি এসব কাজ ভাগাভাগি করা হয়। উপজেলা প্রকৌশলী জিল¬ুর রহমান নিজেই সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন বলে ঠিকাদাররা জানিয়েছেন। ৭টি কাজের মধ্যে উপজেলা প্রকৌশলী নিজে তার পছন্দের ঠিকাদারের নামে দুটি কাজ নিয়েছেন।

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা প্রকৌশলী জিল্লুর রহমান তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাজ বণ্টন করা হয়েছে। পুরো প্রক্রিয়া কেন গোপনে সম্পন্ন করা হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেন বিজ্ঞপ্তিটি নোটিশ বোর্ডে ঝুলানো হয়নি তা আমার জানা নেই।

দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌফিকুর রহমান বলেন, টেন্ডারটি গোপন করা হয়েছে কি-না তা আমার জানা নেই। কেননা টেন্ডারের যাবতীয় কাজ করেন উপজেলা প্রকৌশলী। তবে, এরকম কিছু হয়ে থাকলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।