দামুড়হুদা উপজেলা নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন নির্বাচন সম্পন্ন : আনারুল সভাপতি খালেক সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত

 

দর্শনা অফিস: ব্যাপক জাক-জকমপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলো দামুড়হুদা উপজেলা নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন। এই প্রথম নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন হলেও ব্যাপক সাড়া মিলেছে। ভোটারদের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণ ছিলো চোখে পড়ার মতো। কড়া পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা করে নির্বাচন পরিচালনা পর্ষদ। গত শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে দর্শনা ডিএস সিনিয়র ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসা কেন্দ্রের ৫টি বুথের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। এ নির্বাচনে সভাপতি পদে আনারুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল খালেকুজ্জামান। ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির ২টি পদে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার কারণে ৯ পদের বিপরিতে ভোট যুদ্ধে অংশ নেন ২৫ জন প্রার্থী। ১ হাজার ১ শ ২৫ ভোটের মধ্যে ১ হাজার ৪০ ভোট পোল হয়েছে। আনারুল ইসলাম (আনারস) প্রতীকে ৩৭৪ ভোট পেয়ে সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি সাজ্জাদ হোসেন (চাঁদতারা) ২৮৭ ও আমজাদ হোসেন (বাইসাইকেল) প্রতীকে পেয়েছেন ২১৮ ভোট। বাতিল হয়েছে ১৬৯ ভোট। সহসভাপতি ইসরাফিল হোসেন (চাকা) প্রতীকে ৪১৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার একমাত্র নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আ. মালেক (খেজুরগাছ) প্রতীকে পেয়েছেন ৪০৮ ভোট। এ পদে বাতিল হয়েছে ২০৬ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে আ. খালেকুজ্জামান (ছাতা) প্রতীকে ৪৭২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জাহিদুল ইসলাম (মাছ) ৩১৪ ও মফিদুল ইসলাম (গরুরগাড়ি) প্রতীকে পেয়েছেন ৯৬ ভোট। বাতিল ভোটের সংখ্যা ১৫৮। সহসাধারণ সম্পাদক পদে সবেবরাত (বই) প্রতীকে ২৩৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আ. সালাম (চেয়ার) ২১৯, রুবেল (বালতি) ২১৩ ও আমির হোসেন (টেবিল) প্রতীকে পেয়েছেন ১৪০ ভোট। বাতিল হয়েছে ২১৮ ভোট। কোষাধ্যক্ষ পদে আ. মজিদ (হাতপাখা) প্রতীকে ৪৫৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার একমাত্র নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফজলুল হক (তালাচাবী) প্রতীকে ৩৫১ ভোট পেয়েছেন। বাতিল হয়েছে ২৩১ ভোট। দফতর সম্পাদক পদে ইমন (ফটুবল) প্রতীকে ৪৬৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার একমাত্র নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল্লাহ (মোরগ) প্রতীকে ২৮৬ ভোট পেয়েছেন। এ পদে বাতিল ভোটের সংখ্যাও ২৮৬। ১ নং ওয়ার্ডে সাজ্জাদ হোসেন (হাতুড়ি) প্রতীকে ১৫৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার একমাত্র নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জিনারুল (চশমা) প্রতীকে পেয়েছেন ২৬ ভোট। বাতিল হয়েছে ১৫ ভোট। ২ নং ওয়ার্ডে বাদল (হাতুড়ি) প্রতীকে ৭৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাইফুল (চশমা) ৪৭, সেলিম (তলোয়ার) ৪০ ও জয়নাল আবেদীন (আম) প্রতীকে পেয়েছেন ৩৬ ভোট। বাতিল হয়েছে ৭ ভোট। ৩ নং ওয়ার্ডে আ. হাকিম বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ৪ নং ওয়ার্ডে বাবু (আম) প্রতীকে ৮৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাইদুর (চশমা) ৮৩ ও ফিরোজ (হাতুড়ি) প্রতীকে পেয়েছেন ৫৬ ভোট। বাতিল হয়েছে ২২ ভোট। ৫ নং ওয়ার্ডে হাসান বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচন পরিচালনা পর্ষদে দায়িত্বে ছিলেন, অ্যাড শহিদুল ইসলাম, হাজি আকমত আলী ও আ. কুদ্দুস। পুলিশি নিরাপত্তার সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন, দর্শনা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর শোনিত কুমার গায়েন।