জীবননগরের আন্দুলবাড়িয়া ৪র্থ স্ত্রী অধিকার আদায়ে সৎ মেয়েকে অপহরণ

 

আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: স্বামীর অধিকার বঞ্চিত ৪র্থ স্ত্রী অধিকার আদায়ে তার সৎ মেয়েকে অপহরণ করেছে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে কথিত স্ত্রী রুনা খাতুন স্বামীর ২য় স্ত্রীর মেয়ে আন্দুলবাড়িয়া বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির শিশু শিক্ষার্থী সুমাইয়া খাতুনকে (৮) নানা প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে জিম্মি করেছে। দফায় দফায় স্থান পরির্বতন করায় গত ৪দিনেও অপহৃত শিক্ষার্থী সুমাইয়া খাতুনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। সৎ মায়ের নানা নাটকীয় ঘটনার পর মেয়ে উদ্ধারে তার অভিভাবক মহল উদ্বেগ ও উতকণ্ঠিত হয়ে পড়েছে।

জানা গেছে, জীবননগরের আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের অনন্তপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে বিয়ে পাগল কাঠমিস্ত্রি জহির উদ্দিন (৩৮)। বহু বিয়ে করে তিনি এলাকায় আলোচিত হয়ে ওঠেন। তিনি উপজেলার কেডিকে ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের আবু নাসের ওরফে নসেরের মেয়ে বহু স্বামী পরিত্যক্ত আালোচিত রুনা খাতুনকে (৩২) বিয়ে করেন। রুনা খাতুন প্রায় এক বছর আগে ওমান পাড়ি দেন। সম্প্রতি তিনি বিদেশ থেকে দেশে ফেরেন। দীর্ঘদিন স্বামী জহির উদ্দিন তার ৪র্থ স্ত্রী রুনা খাতুনের সাথে যোগাযোগ রক্ষা না করায় প্রতারণার অভিযোগ তুলে গত বুধবার বিকেলে স্বামীর মৃত ১ম স্ত্রীর মেয়ে আন্দুলবাড়িয়া সরকারি বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া খাতুনকে (৮) জামাকাপড় কিনে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে অপহরণ পূর্বক জিম্মি করে। ওই সময় শিশু শিক্ষার্থী সুমাইয়া খাতুন বিকেল ৪টার দিকে বিদ্যালয় ছুটি শেষে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে সৎ মায়ের প্রলোভনে পড়ে। শিশু সুমাইয়া খাতুনের নিখোঁজকে কেন্দ্র করে অভিভাবক, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন মহলে নানা প্রশ্ন, সন্দেহ ও আতঙ্ক দেখা দেয়। দীর্ঘ অনুসন্ধান ও খোঁজাখুঁজির পর অবশেষে তার সন্ধান মেলে। ফাঁস হয় তার সৎ মায়ের অপহরণ নাটক। পরিবারের সদস্যরা মোবাইলফোনে রুনা খাতুনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি শর্তারোপ করে বলেন, স্বামী জহিরকে হাতে পেলে মেয়েকে দেয়া হবে। এ রিপোট লেখা পর্যন্ত নানা প্রচেষ্টা চালিয়ে শিশু সুমাইয়াকে সৎ মায়ের নিকট থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে জানা গেছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামীম আক্তার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। আজ রোববার সুমাইয়াকে ফিরিয়ে দেয়া না হলে রুনা খাতুনের বিরুদ্ধে জীবননগর থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করা হবে বলে শিশু সুমাইয়ার দাদা আব্দুর রশিদ জানান।