দর্শনায় রডের বদলে বাঁশ : আগামী মার্চে সম্পন্ন হবে ভবন নির্মাণ কাজ

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনায় উদ্ভিদ সঙ্ঘনিরোধ ভবন ও ল্যাবটেরীর নির্মাণের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। আগামী মার্চ মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে আশা করছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা। রডের বদলে বাঁশ ও খোয়ার বদলে সুরকি দেয়ার অভিযোগে গত বছরের ৬ এপ্রিল নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়। পরবর্তীতে আটমাস পর গত ৬ ডিসেম্বর নতুন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নির্মাণ কাজ আবার শুরু হয়।

বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর দর্শনা পৌরভবনের পাশে ১ বিঘা জমির ওপর ২ কোটি ৪১ লাখ টাকা ব্যায়ে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে কাজটি শুরু করে। গত বছরের জুন মাসে ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিলো।

দর্শনায় স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ ঢাকার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জয় কনস্ট্রাকশন ভবনটি নির্মাণে নি¤œমানের উপকরণ ব্যবহার করে। বিশেষ করে অনেক স্থানে রডের পরিবর্তে বাঁশ ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। এছাড়া নি¤œমানের ইট বালু ও সিমেন্টের পরিমাণ কম ব্যবহার করা হয়েছে। গত বছরের ৭ এপ্রিল ভবনটি সরেজমিন পরিদর্শন করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক নির্মল কুমার দে ও তৎকালীন মহাপরিচালক দর্শনার সন্তান মো. হামিদুর রহমানের নির্দেশে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন।

এ ঘটনায় গত বছরের ৯ এপ্রিল উদ্ভিদ সঙ্ঘনিরোধ উইংয়ের পরিচালক সৌমেন সাহার নেতৃত্বে একটি তদন্ত দল গঠন করা হয়। তদন্ত দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তদন্ত শেষে সাইট ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত বিশ্বাসকে সাসপেন্ড করা হয়। সেই সাথে নির্মিত ছাদের কয়েকটি অংশ এবং ৩৬ লুপের সবকটি ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেয়া হয়। পরবর্তীতে ২৯ এপ্রিল কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি মকবুল হোসেনের নেতৃত্বে ৪ সদসস্যের তদন্ত টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এরপর গত বছরের ৬ ডিসেম্বর নতুন করে কাজের উদ্বোধন বাংলাদেশ ফাইটো সেনেটারি সামর্থ্য শক্তিশালী করণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মোহাম্মদ আলী। এ সময় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মাস্তুর ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী শাহীন আখতার ও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক (শস্য) এফএম মহিউদ্দিনসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ভবন নির্মাণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি খোরশেদ আলম জানান, ভবন নির্মাণের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। ছাদের প্যাটনস্টন ঢালাইসহ অন্যান্য কাজ শেষ হয়েছে। আগামী মার্চ মাসের মধ্যে ভবন নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি।