স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার জেলা সদরের ভিমরুল্লার খোয়াড় মালিক আব্দুল আজিজের বিরুদ্ধে বিধি বহির্ভূতভাবে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। খোয়াড় মালিক ধার্যকৃত রেট না মেনে বিনা রসিদে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ টাকা আদায় করছেন বলেও অভিযোগে বলা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে এলাকার ভুক্তভোগীরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের ভিমরুল্লা গ্রামের মৃত ভেলু শেখের ছেলে আব্দুল আজিজ চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার আওতাভুক্ত একজন খোয়াড় মালিক। তিনি দীর্ঘদিন যাবত নিজ বাড়িতে গরু, মোষ, ঘোড়া, ভেড়া, ছাগল ও হাঁস-মুরগির খোয়াড় পরিচালনা করে আসছেন। গত ১৩ ফ্রেরুয়ারি দামুড়হুদা উপজেলার ফকিরপাড়া গ্রামের বদর উদ্দীন বুদোর ছেলে তরিকুল ইসলাম ওই খোয়াড় থেকে ছাগল আনতে গেলে তার কাছ থেকে ৫০ টাকা নেয়। তরিকুল ওই টাকার রসিদ চাইলে তিনি রসিদ দেবেন না বলে জানালে উভয়ের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। ভুক্তভোগী তরিকুল বলেছেন, গরু, মোষ এবং ঘোড়া প্রতি প্রথম দিনে ২৫ টাকা এবং ২য় দিনে আরও ৮ টাকা, ছাগল ও ভেড়া প্রতি ১৫ টাকা এবং ২য় দিনে আরও ৮ টাকা, হাঁস-মুরগি প্রতি প্রথম দিনে ৮ টাকা এবং ২য় দিনে আরও ৫ টাকা, রাজহাঁস প্রতি প্রথম দিনে ১০ টাকা এবং ২য় দিনে আরও ৫ টাকা নেয়ার জন্য পৌরসভা থেকে নির্ধারণ করা থাকলেও খোয়াড় মালিক পৌরসভার নির্ধারিত রেট না মেনে খেয়াল খুশিমতো টাকা নিচ্ছেন। উনি গরু, মোষ, ঘোড়া, ছাগল ও ভেড়া প্রতি প্রথম দিনে ৫০ টাকা এবং ২য় দিনে ১০০ টাকা করে আদায় করছেন। তরিকুল আরও বলেন, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি আমিসহ ফকিরপাড়া গ্রামের ছাগল মালিক পান্নু, আমির হোসেন, সন্দেশবিবি, নারগিস খাতুন, তোফাজ্জেল হোসেন, আহসান হাবীব এবং আতিকুল আমরা ওই খোয়াড় থেকে ছাগল আনতে গেলে আমাদের কাছ থেকে ১৯টি ছাগল বাবদ জোরপূর্বক ৯৫০ টাকা নেয়। আমি ওই টাকার রসিদ চাইলে তিনি রসিদ না দিয়ে আমার সাথে বাগবিতণ্ডা করেন এবং দেখে নেয়ার হুমকি দেন। তাছাড়া পৌরসভা থেকে নির্ধারিত তালিকা প্রকাশ্যে টানিয়ে রাখার কথা বলা থাকলেও উনি তা না করে জোরপূর্বক দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ টাকা আদায় করছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখে অভিযুক্ত খোয়াড় মালিকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে এলাকার ভুক্তভোগী জনসাধারণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ বিষয়ে খোয়াড় মালিক আব্দুল আজিজ বলেছেন, রসিদ দেয়ার কথা কোথাও বলা নেই। তাছাড়া আমি কারো কাছে অতিরিক্ত কোনো টাকা পয়সা নিইনি। ওরা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে।