আলমডাঙ্গা ব্যুরো: উপজেলা বেকারিব্যবসায়ী সমিতি ১ টাকা থেকে ৫ টাকা মূল্যমানের কয়েন ও ২ টাকার নোট আলমডাঙ্গার সকল তফসিলি ব্যাংকে জমা নেয়ার দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেছেন। গতকাল সোমবার সমিতির সভাপতি আনোয়ার হোসেনসহ অন্যান্য সদস্যরা স্মারকলিপি পেশ করেন । এ সময় জেলা প্রশাসকের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজাদ জাহান।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ, বিগত বেশ কয়েক বছর যাবৎ আমাদের বেকারি পণ্য বিক্রির মাধ্যমে যে টাকা পাই তার ৮০ শতাংশ ১ টাকা থেকে ৫ টাকা মূল্যমানের কয়েন ও ২ টাকা মূল্যমানের নোট। প্রাপ্ত এই টাকা আমাদের কোনো মহাজন ও স্থানীয় কোনো ব্যাংক কোনোভাবেই জমা নেন না। আমরা নিতান্ত বাধ্য হয়ে ১ টাকা থেকে ৫ টাকার কয়েন ও ২ টাকার নোট শতকরা ১০-৪০ ভাগ কমিশন দিয়ে ভাঙিয়ে নোট টাকা সংগ্রহ করে কোনো রকমে ব্যবসার অস্তিত্ব রক্ষার ব্যর্থ চেষ্টা করে আসছি। এই অবস্থায় আজ আমরা বেকারি ব্যবসায়ীরা সর্বশান্ত নিঃস্ব। বেকারি ব্যবসার সাথে জড়িত শ শ শ্রমিকের জীবন আজ গভীর সঙ্কটের মুখে। আপনার কাছে আমাদের আকুল আবেদন আমাদের পরিবার পরিজন ও শ্রমিকদের অস্তিত্ব রক্ষার পথ বেকারি ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্য আপনার হস্তক্ষেপ ও সহযোগিতা প্রার্থনা করছি। সেইসাথে ব্যাংকগুলো যেন কয়েন ও ২ টাকার নোট জমা নেয় সে লক্ষ্যে যথাযথ কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে আপনার সদয় মর্জি হয়। এ সময় উপজেলার মর্ডান বেকারি, মুসলিম বেকারি, মনিফুড, আরজু ফুড, রকিব ফুড, ভাই ভাই বেকারি, ফয়সাল বেকারি, সেতু ফুড, ময়ুরী বেকারিসহ চুয়াডাঙ্গার অনন্যা ফুড ও মিস্টি ফুড নামের ১২টি বেকারির প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।