দামুড়হুদায় পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দু পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আহত ১০

 

দামুড়হুদা প্রতিনিধি : দামুড়হুদায় পুকুরে মাছধরাকে কেন্দ্র করে দু পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেচে। এতে উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের দামুড়হুদার চিৎলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন- উপজেলার সড়াবাড়িয়া গ্রামের মৃত আ. বারিকের তিন ছেলে নূরুল ইসলাম (৫০), নাজিম উদ্দীন (৬০) ও শাহাজুল ইসলাম (৪৫), শাহাজুলের ছেলে মিলন (২০), একই গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে ইনতাজুল (৩৬), নাজিম উদ্দীনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৩০), মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে নাসির উদ্দীন (৪৫), নাসির উদ্দীনের ছেলে সাব্বির হোসেন (১৬), মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে ওসমান (৪৮), মৃত আকমান আলীর ছেলে খোকন (৪৫)। গতকাল রোববার সকাল ৮ টার দিকে উপজেলার সড়াবাড়িয়া গ্রামে পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের ওই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহত নুরুল ইসলাম বলেছেন, আমার বড় আব্বা মৃত আশরাফ আলী ওই পুকুরের জমি আমাদের নামে স্ট্যাম্প করে দিয়ে গেছে। আমরা দির্ঘদিন ধরে ওই পুকুরে মাছচাষ করে আসছি।  গতকাল সকালে প্রতিপক্ষ অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী ইলিয়াস হোসেন ২০/২৫ জনলোকসহ লাঠি-হড়পা নিয়ে পুকুরে মাছ ধরতে আসে আমরা বাঁধা দিলে আমাদের মেরে গুরুতর আহত করে। এ বিষয়ে অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী ইলয়াস হোসেন বলেন, ওরা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলেছে। ওই সম্পত্তি আমার স্ত্রী ও তার বোনের নামে রেকর্ডভূক্ত। ওই পুকুরে ওদের কোন অংশ নেই। বরং তারা যে ভিটে জমিতে বসবাস করছে ওটাও আমার স্ত্রীর নামে রেকর্ডভূক্ত। আমি ওই পুকুরে দু দফায় ২০ কেজি মাছ ছেড়েছি। আমি সম্প্রতি ঢাকায় যাই। ওই সুযোগে ওরা পুকুরের মাছ ধরে বিক্রি করে দেয়। গতকাল আমরা পুকুরে মাছ ধরতে গেলে তারা ধারালো অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। হামলায় আমার চাচাতো ভাই নাসির উদ্দীনসহ ৪ জন রক্তাক্ত জখম হয়। এরমধ্যে নাসিরের অবস্থা আশঙ্কাজনক  হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক  চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রেফার করেছেন। এ ঘটনায় তিনি বাদি হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় প্রতিপক্ষের ৭ জনের নামে এজেহার দায়ের করেছেন।