জিয়াউর রহমান জিয়া: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নে এবার আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকরা তাদের আলু উঠানো শেষের দিকে। ভালো ফলন হওয়ায় তারা খুশি। এবার আবহাওয়া আলু চাষের অনুকূলে থাকায় কুতুবপুর ইউনিয়নের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ফলন বেশি হয়েছে।
কুতুবপুর ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমার বলেন, গতবারের চেয়ে এবার আলুর ফলন ভালো হয়েছে। প্রতিবিঘা জমিতে ৮০ থেকে ১শ মণ আলু পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হয়েছে। গত বছর ৫০ থেকে ৬০ মণ আলু হয়েছিলো। মাঠের আলু তোলা শুরু হলে দাম গতবারের চেয়ে কম। এবার এ ইউনিয়নে ১০০ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ করা হয়েছে। বাজারে আলু প্রতিমণ ৩শ থেকে সাড়ে ৩শ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে। বোয়ালিয়ার আলুচাষি আক্কাচ আলী মণ্ডল জানান, আলুর দাম কমে যাওয়ায় লাভ হবে না খরচটা কোনো রকম উঠতে পারে।
দত্তাইলের আলুচাষি বোরহান উদ্দিন জানান, আলু বীজসহ সকল উপকরণের দাম বেশি তার পরেও বাজাবে আলুর দাম কম কারণ হিসাবে তিনি বলেছেন আগপিচ করে আলু তোলা শুরু হলে বাজারে আলুর দাম ঠিক থাকতো, সেটাও করতে পারিনি চাষিরা তাই একসাথে আলু তুলতে গিয়ে বাজারে আলুর চাহিদার তুলোনাই বেশি বেশি তুলতে হচ্ছে ,এইজন্য দাম কমে যাচ্ছে।
বীজসার ১ বিঘা জমিতে খরচ হয় ২০ খেকে ২৫ হাজার টাকার মত ।এছাড়া বর্গা চাষিদের ক্ষেত্রে আরো বেশি ।১বিষা জমির আলু তুলে বাজারে বিক্রি করে কৃষক পাচ্ছে ২৪ থেকে ২৮ হাজার টাকা। ৮০থেকে ১শ মন আলু বাজারে আনতে শ্রমিক সহ ভ্যান ভাড়া লাগে ৮হাজার থেকে ৯ হাজার টাকা।