গাংনীর খয়ের হত্যা মামলার মূল আসামিরা ধরা-ছোয়ার বাইরে : বাদিকে প্রাণনাশের হুমকি

 

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনীর আলোচিত আবুল খয়ের হত্যা মামলার প্রধান আসামিরা আজো গ্রেফতার হয়নি। আত্মগোপনে থাকা আসামিরা মামলা তুলে নিতে বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। এমন অভিযোগে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন বাদী আব্দুল মালেক।

অভিযোগে জানা গেছে, ১২ জনকে আসামি করে নিহত আবুল খয়েরের ভাই আব্দুল মালেক গাংনী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন। গাংনী থানা পুলিশের অভিযানে কয়েকজন গ্রেফতার হয়। কিন্তু প্রধান আসামি বাবু ওরফে কানা বাবু এবং আকছার আলীসহ কয়েকজন আজও গ্রেফতার হয়নি। গাংনী থানা পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালালেও তাদের গ্রেফতার করতে পারেনি।

এদিকে গ্রেফতার না হওয়া আসামিরা বাদীপক্ষের ওপর চাপ প্রয়োগে সাহস পাচ্ছে। এমন অভিযোগ করে মামলার বাদী আব্দুল মালেক ও তার ভাইয়েরা জানান, আত্মগোপনে থাকা আসামিরা বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে মামলা তুলে নিতে চাপ দিয়ে চলেছে। আপস কিংবা মামলা প্রত্যাহারের দাবি করছে তারা। বাদী পক্ষ দাবি নাকচ করে দিচ্ছে। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে নিহত খয়েরের মতো পরিণত হবে বলে হুমকি দিয়েছে। সর্বশেষ মোবাইলে বাদী আব্দুল মালেককে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে আসামিদের কয়েকজন। প্রাণনাশের বিষয়টি উল্লেখ করে গাংনী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন আব্দুল মালেক।

বাদী ও তার পরিবারের কয়েকজন জানান, নৃশংসভাবে আবুল খয়েরকে হত্যা করা হয়েছে। যার দুঃসহ স্মৃতি কোনোভাবেই ভুলতে পারছে না পরিবার। গোটা পরিবার এখনো স্বাভাবিক হতে পারেনি। মামলা আপস কিংবা তুলে নেয়ার প্রশ্নই আসে না। আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক সাজার অপেক্ষায় রয়েছেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা।

আবুল খয়ের হত্যা মামলাটি তদন্তদ করছিলেন গাংনী থানার একজন এসআই। সম্প্রতি মামলাটির তদন্তভার পড়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি)। মেহেরপুর সিআইডি ইন্সপেক্টর হাসান ইমাম জানান, অত্যধিক গুরুত্বের সাথে মামলাটি তদন্ত করা হবে। আসামি গ্রেফতারেও চেষ্টা চলছে। বাদীকে হুমকি দেয়ার বিষয়টিও সতর্কতার সাথে দেখছে পুলিশ। তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রধান আসামিসহ সব আসামি গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক সাজা দাবি করেছেন নিহতের পরিবার।

উল্লেখ্য, গত ২ অক্টোবর সন্ধ্যরাতে বাজার থেকে বাড়ি ফেরার সময় বাড়ির অদূরবর্তী ওলিপাড়া সড়কে আগে থেকে ওৎপেতে থাকা সন্ত্রাসীরা আবুল খয়েরের ওপর হামলা করে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরেরদিন ভোরের দিকে রাজশাহী মেডিকেলে তার মৃত্যু হয়। নিহত আবুল খয়ের গাংনী পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ও পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ইনসারুল হক ইন্সুর ভাই।

Leave a comment