নতুন তালিকায় ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের নাম বাদ দেয়া হবে
দর্শনা অফিস: সারাদেশে বীর মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের নাম অর্ন্তভূক্তি করণের পাশাপাশি নামধারী ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেয়ার প্রক্রিয়ায় এ কমিটি গঠন করছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল। জীবননগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই করণের লক্ষ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা রহমতুল্লাহকে সভাপতি ও সদস্য করা হয়েছে সামসুল আলম ছাত্তার এবং আব্দুল মোতালেব খানসহ অনেককেই। সম্প্রতি জীবননগর উপজেলার ২৫ জন মুক্তিযোদ্ধার স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগপত্র প্রেরণ করা হয়েছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বরাবর।
অভিযোগপত্রে রহমতুল্লাহ, সামসুল আলম ছাত্তার ও আব্দুল মোতালেব খানকে বিতর্কিত মুক্তিযোদ্ধা উল্লেখ করে নানা রকমের অভিযোগ তোলা হয়েছে। এরই ভিত্তিতে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছে অভিযুক্ত এ ৩ বীর মুক্তিযোদ্ধা। ঘটনার সঠিক বর্ণনা দিতে ১৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা গতকাল শনিবার সকাল ১০টার দিকে দর্শনা প্রেসক্লাবে করেছেন সাংবাদিক সম্মেলন। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে রহমতুল্লাহ, মোতালেব খান ও সামসুল আলম বলেছেন, যাচাই-বাছাই কমিটি গঠন তাদের অজান্তেই হয়েছে। তাছাড়া এ কমিটির সকলেই জীবননগর উপজেলা এমনভাবে যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা তালিকা তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছে যাতে বিন্দু পরিমাণ ত্রুটি থাকবে না। এ বুঝে আতে ঘা লেগেছে বেশ কয়েকজন নামধারী ভূয়া মুক্তিযোদ্ধার। যে কারণে তারা কমিটি বাতিল ও আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে মেতেছে। অভিযোগপত্রে স্বাক্ষরিত ২৫ জনের মধ্যে অনেকই ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছেন এ ৩ বীর মুক্তিযোদ্ধা। সাংবাদিক সম্মেলনে ১৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রহমতুল্লাহ, সামসুল আলম ছাত্তার, আব্দুল মোতালেব খান, সিরাজুল ইসলাম, তানজির আহেম্মদ, বিল্লাল হোসেন, মহাসিন আলী, লিয়াকত আলী, আব্দুর রহমান, তাহুয়ার রহমান, ইসরাফিল হোসেন, আনসার আলী, হাফিজুল আলম, আ. হান্নান ও রুস্তম আলী। এ সময় দর্শনা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।