স্টাফ রির্পোটার: আলমডাঙ্গার ঘোলদাড়ী বাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যনিজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে ইংরেজি শিক্ষকের শূন্যপদে ব্যবসায় শিক্ষা শিক্ষকের নিয়োগের অভিযোগের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা সহকারী জজ আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। গত ২ জানুয়ারি আদালত এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
মামলাসূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৮ জুন ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (ইংরেজি) নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে স্কুল কতৃর্পক্ষ। ইংরেজি বিষয়ে অনার্স মাস্টার্স পাস যোগ্য প্রার্থীগণ দরখাস্ত করলেও প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি অর্ধিক অর্থ না পাওয়ার কারণে সে নিয়োগ বন্ধ করে দেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে ওই সময় আন্দোলনও হয়। ওই সালের ৭ জুন ২য় বারের মতো সহকারী শিক্ষক (ব্যবসায় শিক্ষা) শূন্য পদ না থাকলেও কৌশলে শূন্য পদ দেখিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় মহিলা শিক্ষক আবশ্যক বলে। কিন্তু কোনো প্রার্থী আবেদন না করলে, আবার নতুন করে ব্যবসায় শিক্ষা শূন্য পদে (মহিলা) আবশ্যক মর্মে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। ২৮ নভেম্বর আবেদনের শেষ তারিখ উল্লেখ করলেও ২২ নভেম্বর ব্যবসায় শিক্ষা শিক্ষক পদে টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে ব্যবসায় শিক্ষক হিসেবে শিমুল হোসেন নামে একজনকে সহকারী শিক্ষক হিসবে নিয়োগ দেন প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন ও সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক চৌধুরী। প্রতিবাদের ঝড় তোলে স্কুলের সহকারী শিক্ষকবৃন্দ। এ নিয়ে ক্লাস বর্জন, মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি করতে থাকে স্কুলের শিক্ষকসহ অভিভাবক সদস্যবৃন্দ। ৩ দফা দাবি তোলে স্কুলের নাগরিক সংগ্রাম কমিটি। প্রধান শিক্ষক ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষকদের নামে আলমডাঙ্গা থানায় জিডিও করেন।
অপরদিকে স্কুলের সহকারী শিক্ষক হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে ১৩ জনকে আসামি করে চুয়াডাঙ্গা আদালতে মামলা করেন। গত ২ জানুয়ারি চুয়াডাঙ্গা সহকারী জজ আদালত এ নিয়োগের ওপরে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। ফলে এক বিষয়ের শিক্ষকের স্থানে অন্য বিষয়ের শিক্ষক এমপিওভুক্ত হতে পারবেন না।